কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান মক্কী ইকবালের (৩৫) ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে ইউনিয়নের খোজাখালী স্টেশনে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি ওই ইউপির দুই বারের চেয়ারম্যান।
ইউপি চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল বলেন, ‘দুদিন ধরে টানা বর্ষণে খোজাখালীর ভোলপুকুর এলাকায় রাস্তার ওপর পানি জমে যায়। স্থানীয় লোকজন অভিযোগের ভিত্তিতে পানি নিষ্কাশন করতে রাস্তার পাশে বাঁধের মাটি সরিয়ে দেওয়া হয়। এতে রাস্তার পানি নিষ্কাশন হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাস্তার পাশে মাটি সরাতে গিয়ে একটি কলাগাছ নষ্ট হয়েছে দাবি করে খোজাখালী ভোলপুকুর এলাকার মৃত আব্বাস উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ ছাদেকুজ্জামান (৪২) ও তাঁর ভাই মো. সরওয়ার (৪৬) প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করে। বিকেলে পাঁচটার দিকে খোজাখালী স্টেশনে গেলে তখন তাঁরা আমাকে হামলা করে। এতে আমার পরিহিত পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসী কায়দায় বুকে কামড় দেয়। এসময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে তিনি স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন।’
অভিযুক্ত মোহাম্মদ ছাদেকুজ্জামান মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর ফোনের সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে হামলার শিকার মুসল্লী ছাদেকুজ্জামান মাতামুহুরীকে বলেন, কৈয়ারবিল খোজাখালী এলাকায় নির্মিত ব্রীজ ও সংস্কারকৃত সড়ক সম্প্রসারণের জন্য চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম এমএ ইউপি চেয়ারম্যানকে জনসম্মূখে দিকনির্দেশনা দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী চেয়ারম্যান মক্কী ইকবালের মার্কেটের নীচের সিড়ি ভেঙ্গে ফেলার জন্য তাগাদা দেন। কিন্তু চেয়ারম্যান তা না করে আমার বাড়ির পুকুরের পাড় অন্যায়ভাবে ভরাট করে সড়ক সম্প্রসারণের চেষ্টা চালায়। এমনকি বাড়ির রোপিত কয়েকটি কলাগাছ ও আম গাছও কর্তন করেন ক্ষুদ্ধ চেয়ারম্যান ও তার পিতা।
বিষয়টি জানতে চাইলে চেয়ারম্যানের পিতার সাথে সামান্য তর্ক হয়। ওই তর্কের তুচ্ছ সূত্র ধরে পূর্বে থেকে ক্ষেপে থাকা ইউপি নির্বাচনী ইস্যুতে হামলার পরিকল্পনা করে চেয়ারম্যান। তারই ধারাবাহিকতায় ১৭জুন শুক্রবার, পবিত্র আছরের নামাজ পড়ার জন্য ছাদেকুজ্জামান বাড়ির পাশ্ববর্তী ভোলপুকুর জামে মসজিদে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন ও তার পিতা নুরুল হোসেন হাতে ধারালো কিরিছ ও লোহার রড নিয়ে মসজিদের ভেতরে ঢুকে অতর্কিত ও পরিকল্পিত হামলা চালায়। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারলে তা ডান হাত দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে হাতে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন। তার শরীরের আরো বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী মাতামুহুরীকে বলেন, ‘এ ঘটনায় চেয়ারম্যান আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’