কক্সবাজারের বরণ্য রাজনীতিবিদ ও চকরিয়া পৌরসভার সাবেক প্রশাসক, কক্সবাজার জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এড. আমজাদ হোসেন এর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভা রোববার ২৬ জুন সকালে চকরিয়া পৌরসভা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চকরিয়া পৌর পরিষদ, পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী সার্ভিস এসোসিয়েশনের আয়োজনে প্রয়াত পৌর প্রশাসক এড. আমজাদ হোসেন স্বরণে খতমে কোরান, মিলাদ মাহফিল ও শোকসভার আয়োজন করা হয়।
চকরিয়া পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারি সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি জহিরুল মওলার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল মোস্তফা রাজিব এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী।
এতে প্রধান বক্তা ছিলেন, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সরওয়ার আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন জয়নাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মিজবাউল হক, সাবেক ছাত্রনেতা কাইছার উদ্দিন, আলমগীর হোছাইন ও আমজাদ হোসেন এর ছোট ভাই ইমাম হোসেন।
পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে খতমে কোরান মিলাদ মাহফিল ও শোকসভায় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মাসউদ মোরশেদ, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন মানিক, সহ-সভাপতি আমান উদ্দিন, পৌর কৃষকলীগের সভাপতি সুলাল কান্তি সুশীল, পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ ফোরকানুল ইসলাম তিতু, প্যানেল মেয়র-২ মুজিবুল হক মুজিব, নারী কাউন্সিলর আনজুমান আরা বেগম, ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এম.নুরুচ্ছফি, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইফতেখার উদ্দিন হানিফ, ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাফর আলম কালু ,৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুস সালাম, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল আমিন, ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বেলাল উদ্দিন ও পৌর আ.লীগ নেতা নুরুল আমিন টিপু।
এসময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সফায়াত হোসেন, পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আবু রাশেদ মো. জাহেদ উদ্দিন, রায়হান আক্তার বানু, বাজার পরিদর্শক বশির আহমদ, কর নির্ধারক ফরিদুল আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফুল মোস্তফা, লাইসেন্স পরিদর্শক কামাল হোসেন, উচ্চমান সহকারি উসমান গণি, সহকারি কর আদায়কারী নুরুল আবছার মুনিরী, পরিছন্নতা পরিদর্শক আবুল কালাম, অফিস সহকারি আবদুল হামিদ, সার্ভিস এসোসিয়েশন সাংগঠনিক সম্পাদক জানে আলম, অর্থ সম্পাদক মো.হায়দার আলী, ঠিকাদানকারী সুপারভাইজার মো.নাজিম উদ্দিন, আওলাদ কামাল, ঠিকাদানকারী রফিকুল আলম, আবদুল লতিফ, চম্পক দত্ত, রুবি আক্তার, কম্পিউটার অপারেটর দিদারুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল কাদের, প্রচার সম্পাদক ফরিদুল আলম, আপ্যায়ন সম্পাদক রাশেদ কামাল, রোলার চালক রুবেল, মাহমুদুল করিম, জোবাইর, শেফায়েত হোসেন ওয়ারেছি, দপ্তর সম্পাদক আলী আকবর, অফিস সহায়ক খোকন কুমার চৌধুরী, আব্বাছ উদ্দিন, মাওলানা সাহাব উদ্দিন, শফিকুল কাদের, নুরুল আমিন, ছাত্রলীগ নেতা মিছবাউদ্দিন বাপ্পী, হারুন ও বাগান মালি সেলিম।
স্বরণসভায় বক্তারা বলেছেন, এড.আমজাদ হোসেন ছিলেন আওয়ামী রাজনীতিতে একজন নির্ভেজাল রাজনীতিবিদ। তিনি আমৃত্যু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিশ্বস্থ ভ্যানর্গাড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের দুর্দিনে যখন কেউ কারো খবর নিতনা, তখন তিনি ছিলেন নেতাকর্মীদের আস্থা ও ভরসার ঠিকানা। নেতাকর্মী মামলায় জড়িয়ে গেলে, জেলহাজতে গেলে এড.আমজাদ হোসেন বিনা খরচে আইনী লড়াই করে নেতাকর্মীকে জেলমুক্ত করেছেন। মামলা থেকে বাঁিচয়েছেন।
বক্তারা আরও বলেন, এড. আমজাদ হোসেন রাজনীতির বাইরে একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন। সমাজের নানা অসঙ্গতির বিরুদ্ধে তিনি সবসময় স্বোচ্ছার ভুমিকা পালন করতেন। তিনি যতদিন জীবনে বেঁেচ ছিলেন, ততদিন মানুষের উপকার করেছেন, দেশের কল্যাণে কাজ করেছেন। বরণ্য রাজনীতিবিদ আমজাদ হোসেন ছিলেন নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের আশার বাতিঘর। তাঁর মতো আদর্শবান নীতিবান রাজনীতিবিদ, আইনজীবি, সমাজ সংস্কারক আজকের প্রেক্ষাপটে খুজে পাওয়া বিরল।