1. iliycharman7951@gmail.com : admin :
চকরিয়ায় জমির বিরোধ নিয়ে এক জেলেকে বেদম মারধর : এলাকায় উত্তেজনা - matamuhuri - মাতামুহুরী
শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

চকরিয়ায় জমির বিরোধ নিয়ে এক জেলেকে বেদম মারধর : এলাকায় উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট : বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২
  • ৫০৫ পঠিত
হামলায় যুদ্ধমোহন

চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ছাইরাখালী জলদাশ পাড়ায় জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে যুদ্ধমোহন (৫০) নামের একব্যক্তিকে বেদম মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা। পরে যুদ্ধমোহনকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা উদ্ধার করে চিরিঙ্গা জমজম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার শাররীক অবস্থার অবনতি হলে কর্মরত চিকিৎসক চমেকে প্রেরণ করেছে। গত ৩০ জুন বুধবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৫টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

 

সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন আহত যুদ্ধমোহনের ৬ বোন

স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ছাইরাখালী জলদাশ পাড়া এলাকায় জেলে যুদ্ধমোহন ৩৫ কড়া জমি ক্রয় করে ১৫ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি তার ক্রয়কৃত জায়গা দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে একই এলাকার মৃত বীনা বাশির পুত্র অমবরিস। গত ২৯ জুন বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে অমবরিস ও তার লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে বসতভিটা দখল করতে যায়। ওইসময় দখলবাজ অমবরিস তার বসতভিটায় পিলার দেওয়ার চেষ্ঠা চালায়। এসময় যুদ্ধমোহন বাধা দেওয়ার চেষ্ঠা করলে অমবরিসের ৪-৫জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী তাকে এলোপাতাড়ি মারধর ও হামলা করে।
এসময় তাদের আঘাতে যুদ্ধমোহন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্বজনরা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা যুদ্ধমোহনকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া জমজম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে যুদ্ধমোহনের শাররীক অবস্থার অবনতি হলে কর্মরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

যুদ্ধমোহনের বড় বোন দয়া মন্তি বালা ও ছোট বোন সাগরবালা সাংবাদিকদের জানান, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলালীর কাছে জায়গার বিরোধ নিয়ে শালিশ বিচার দেন দখলবাজ অমবরিস। কিন্তু উভয়পক্ষকে না ডেকে বুধবার বিকালে যুদ্ধমোহনের জায়গা দখল করতে লোকজন পাঠান ইউপি চেয়ারম্যান। তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী খলিল উল্লাহ, বেলাল উদ্দিন ও আবদুল আজিজের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে তার ভাইকে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। ইউপি চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে শালিশ বিচারে না ডেকে এককভাবে অমবরিসকে অন্যায়ভাবে জায়গার দখল বুঝিয়ে দেন। বর্তমানে তাদের ভাই যুদ্ধমোহন আশঙ্কাজনক বলে জানান তারা। এবিষয়ে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এব্যাপারে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলালী মাতামুহুরীকে বলেন, তার ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ছাইরাখালী এলাকায় বসতভিটা নিয়ে বিরোধ চলছিলো জেলে সম্প্রদায়ের যুদ্ধমোহন ও অমবরিসের মধ্যে। যুদ্ধমোহনের জায়গাতে অমবরিসেরও জায়গা রয়েছে বলে তার পরিষদে অভিযোগ দেন। এরপ্রেক্ষিতে দফাদার ও চৌকিদার পাঠিয়ে জমির পরিমাপ করে অমবরিসকে জায়গাও দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সাথে তার জড়িত থাকার প্রশ্নেও উঠে না। সেখানে যুদ্ধমোহনকে মারধর করা হয়নি। তবে সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে। জমি দখল নিতে তার কোন লোককে পাঠানো হয়নি বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

© All rights reserved © 2019 LatestNews
Theme Customized BY Iliaych