রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক প্রতিনিয়ত নানান অপরাধ বাড়ছে দিনদিন। ফলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলো।
ক্যাম্প জুড়ে একশ্রেণির সন্ত্রাসী গ্রুপ ক্যাম্পকে বেঁচে নিয়েছে তাদের নিরাপদ ঠিকানা হিসেবে। রোহিঙ্গারা নানা অপরাধমুলক কাজের পাশাপাশি ধর্ম ভিত্তিক ব্যবসায় ও জড়িয়ে পড়েছে।
ক্যাম্পের অভ্যন্তরে চলছে জুয়ার আসর, মাদক, স্বর্ণচোরাচালানসহ অস্ত্র ব্যবসার পরিধি ও বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে কুতুপালং রেজিষ্ট্রাট ক্যাম্পের কিছু স্হানকে তাদের আস্তানা হিসেবে গড়ে তুলেছে বলে সাধারণ রোহিঙ্গারা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। কুতুপালং এ -ব্লক নামক জায়গায় ইজ্জাতুল কুরআন করিম নামে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্টান খুলেছে এক শ্রেণীর স্বচতুর রোহিঙ্গারা।
এই প্রতিষ্টানের নামে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক কিছু দেশ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে অনুদান এনে কোটি কোটি আয়-রোজগার করে আসছে বলে লোকে মুখে শুনা যাচ্ছে। এমনকি এতিম শিশু, অসহায় বিধবা নারী, প্রতিবন্ধি নারী -পুরুষসহ ধর্মীয় শিক্ষা ও পাঠদান দেওয়ার নামে বিদেশ থেকে নিয়ে আসছে আর্থিক অনুদান। কুতুপালং মাঝর ক্যাম্প, ওয়াইসসা টালসহ পুরো ক্যাম্পে রয়েছে তাদের নেটওর্য়াক।
নিষিদ্ধ সংগঠন রোহিঙ্গ আরওএসও গ্রুপ, আল ইয়াকিন গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে আলোচিত সন্তাসী মুন্না গ্রুপ। এসব গ্রুপকে টাকার ভাগ দিয়ে অনৈতিক উপায়ে ধর্ম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামী মাহাজা নামের একটি সংগঠন।
সাধারণ রোহিঙ্গারা মনে করছে এসবের কারণে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে অসংখ্যা রোহিঙ্গা গোষ্টি। অনেকে হাজার হাজার টাকার মালীক বনে যাচ্ছে। যার কারণে রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফিরে যেতে অনিচ্ছুক হয়ে পড়তেছে। এ বিষয়ে সরকারের গোয়েন্দা নজরী দারী আরো বাড়ানো উচিত বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।