কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের ভরামুহুরী এলাকায় অসহায় একব্যক্তির বসতভিটা ও দুটি দোকানঘর জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে দখলবাজ চক্রের বিরুদ্ধে। ৬ জুলাই বুধবার সকাল দশটার দিকে জমিতে মাটি ভরাট ও আশপাশের অন্তত ২০-২৫টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ সাবাড় করেছে ভূমিদস্যুরা। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও ভূমিদস্যুরা অবৈধভাবে দখল চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান ভূক্তভোগী পরিবার। এঘটনায় ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কমল কর।
চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ভরামুহুরী এলাকার মৃত নিরঞ্জর মালাকারের পুত্র কমল কর (৩৮) বুধবার বিকাল তিনটার দিকে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, পৈত্রিকভাবে পাওয়া ৬০কড়া বসতভিটায় পরিবার পরিজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। সেখানে তার দুটি দোকানঘর ও ২০-২৫টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালিও রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে তার বসতভিটা দখলের চেষ্ঠা করছেন স্থানীয় এক দখলবাজ চক্র। ইতোমধ্যে তারা বেশ কয়েকবার দখলের চেষ্ঠাও করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এসব জায়গাতে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু ভূমিদস্যূরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা না মেনে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র সজি¦ত হয়ে তার জায়গাটি দখলের জন্য পায়তারা করছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ কমল কর আরও বলেন, ৬ জুলাই বুধবার সকাল থেকে নুর আহমদ ও তার দুই পুত্র নাজেম উদ্দিন, রহিম উদ্দিন, বাবলু ও রনজিতের নেতৃত্বে ১০-১২জনের দখলবাজ তার জায়গাতে মাটি ভরাট করে জায়গা দখল করেছেন। ভিটের চারপাশের ২০-৩০টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এমন কী তার দুটি দোকানঘর ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ভূমিদস্যুদের বাধা দেয়ার চেষ্ঠা করলে তার উপর হামলা চালান তারা। পরে চকরিয়া থানা পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দখলবাজকে চক্রকে বাধা দেন। পুলিশ চলে যাওয়ার পরপরই পূনরায় তার জায়গাতে মাটি ভরাট করে যাচ্ছেন।
এব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন কুমার চক্রবর্ত্তী মাতামুহুরীকে বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।