চকরিয়ার লক্ষ্যারচরে জমির সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে থানায় জিডি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কেন্দ্রের পরিদর্শিকাসহ ৩জনকে বেধম মারধরে আহত করা হয়েছে। গত ৫ জুলাই’২২ইং বিকাল সাড়ে ৫ ঘটিকায় উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের রুস্তম আলী চৌধুরী পাড়া ঘটেছে এ ঘটনা।
এনিয়ে ওই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী ও লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কেন্দ্রের এফ.ডব্লিউ.ভি তসলিমা খানম মিনু বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে; একই এলাকার মোঃ ইরফান, তহুরা খানম মেরী, জেরিন (২৪), শাইলা জন্নাত, সোহারাব হোসাইন নান্নু (এমইউপি), মোঃ সৌরভ সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৭/৮ জনকে।
অভিযোগে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের রুস্তম আলী চৌধুরী পাড়া গ্রামে বাদীর বসতভিটার উত্তর ও দক্ষিণ সীমানায় অভিযুক্তরা অবৈধভাবে জমি জবর দখলে নিতে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। ফলে প্রকাশ্য দিবালোকে হাঁকাবকা ও হুমকি-ধমকি অব্যাহত রাখায় তসলিমা খানম মিনু বাদী হয়ে গত ২৫জুন’২২ইং চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী (নং-১১২২) দায়ের করেন।
এতে আরো বেশি ক্ষিপ্ত গত ৫জুলাই’২২ইং বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পূর্ব শত্রুতার আক্রোশে অভিযুক্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো দা, কিরিচ, লোহার রড, হাতুড়ীসহ মারাত্মক দেশীয় অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত নিয়ে বসত ভিটায় অনধিকার প্রবেশ করে বসত ঘরের দরজা ও জানালায় এবং ঘরের দেওয়ালে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাংচুর চালিয়ে ২০হাজার টাকার মত ক্ষতি করে। আত্মরক্ষায় ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে ঢুকে পড়েন। ওই সন্ত্রাসী কায়দায় আক্রমণ করে বাদী মিনুকে গলা চেপে শ্বাসরোধ করতঃ লাথি মেরে মাটিতে ফেলে। ওই সময় বুকে ও বাম হাতে স্বজোরে কামড় মেরে জখম করে। মাথা লক্ষ্য করে হত্যার উদ্দেশ্যে বারী মেরে জখম করে। এক পর্যায়ে চুলে ধরে টানা-হেঁছড়াসহ বিবস্ত্র ও শ্লীলতাহানী করে। তাকে উদ্ধারে বড় বোন তোহফাতুন নেছা রুনু (৫৪) এগিয়ে গেলে তাকে লোহার রড দিয়ে হত্যার চেষ্টায় মাথা, বুকে ও বাম হাতে স্বজোরে বারী মেরে জখম করে। তাদের চিৎকারে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মা ফাতেমা খাতুন এগিয়ে গেলে তাকেও শক্ত কাঠের লাঠি দিয়ে হত্যার চেষ্টায় আঘাত করে জখম করে।
ওই সময় অভিযুক্তরা বাড়িতে ঢুকে আলমিরার ড্রয়ার ভেঙ্গে রক্ষিত বাড়ির ২য় তলার নির্মাণ কাজের রড, সিমেন্ট, লোহা, ইট, বালি খরিদের নগদ ৩লাখ ২০হাজার টাকা ও সাড়ে ৫ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার। বিষয়টি জাতীয় সেবা কেন্দ্রের ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে থানার সহকারি উপপরিদর্শক শামছুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশদল ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী মাতামুহুরীকে বলেন, ঘটনার বিষয়ে পূর্বের জিডি এবং ঘটনার পর লিখিত এজাহার পাওয়ার পর থানার উপপরিদর্শক ঈস্রাফিলকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পেলে মামলা নেওয়া হবে।