জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী চকরিয়ায় পালিত হয়। বৃহস্পতিবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দিনভর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে চকরিয়া, মাতামুহুরী, চকরিয়া পৌরসভা জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠন।
কর্মসূচীর মধ্যে চকরিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুম্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন।
চকরিয়া উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান ছিলেন কক্সবাজার-১ আসনের জাপা মনোনয়ন প্রত্যাশায়ী মোহাম্মদ সামসুল আলম।
এসময় তিনি বলেন, সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে তামাশায় পরিনত করেছে। তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য মানুষের অধিকার হরণ করে নিয়েছে। এখন সকলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। জাপা চেয়ারম্যান ৮২ সালে দেশের এক ক্রান্তিকালের সময় জনগণের জানমাল রক্ষার্থে বিনা রক্তপাতে শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন। বিনা রক্তপাতে শাসন ছেড়ে দিয়েছেন। যা বিশ্বে নজির।
জাপা নেতা সামসুল আলম আরও বলেন, রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ট মুসালমানদের দেশে ধর্মপ্রিয় নেতা পরিচিতি লাভ করেছেন। সাবেক রাষ্ট্র প্রধান এরশাদের উন্নয়নের কাজ এখনো দেশে দৃশ্যমান।
চকরিয়া-পেকুয়া আসনে লাঙ্গল প্রতীক পেতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং আগামী নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীককে বিজয় করতে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐকবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা জাপা নেতা এডভোকেট ওমর আলী, চকরিয়া পৌরসভার সভাপতি জসিম উদ্দিন কমিশনার, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি আমির হোসেন আমু, মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা জাপার সভাপতি হোসনে আলম চৌধুরী নিয়ামত মিয়া, সহ-সভাপতি হাফেজ ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ সরওয়ার আলম, পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি, সহ-সভাপতি আলহাজ¦ এনামুল হক, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান, পৌরসভার সাংগঠনিক সম্পাদক শোয়েব মো. রুবেল, উপজেলা ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মোর্শেদ, মাওলানা হেদায়াতুর রহমান, মাষ্টার বদিউল আলম, মোজাফ্ফর মেম্বার, বাদশা মেম্বার, মাষ্টার কুতুব উদ্দিন, মাওলনা আইয়ুব আলী জিহাদী, জাফর আলম, দিদারুল ইসলাম, শফিউল আলম, ডা. নাছির উদ্দিন, আবু তাহের, নুরুল হোছাইন, আবদুর রহমি মেম্বার, গিয়াস উদ্দিন, মো. এরশাদ। পরে দলীয় নেতাকর্মী ও দুস্থ অসহায়দের মধ্যে খাবার পরিবেশন করা হয়।