চকরিয়া আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মো.গিয়াস উদ্দিনে রাজাখালী ৯নং ওয়ার্ড আমিলাপাড়া গ্রামে শত বছরের ভোগ দখলীয় জমি জবর দখল করেছে ভূমিদস্যুরা। জমি দখলের পর সেখানে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে ভীতিকর পরিবেশ করেছে সন্ত্রাসীরা। এমনকী আইনজীবি পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিচ্ছেন।
এঘটনায় চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জবর দখল ও চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবি গিয়াস উদ্দিন।
এডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ৯নং ওয়ার্ড আমিলাপাড়া গ্রামের মরহুম আলহাজ্ব মাষ্টার মাহফুজুল করিমের পুত্র ও পেকুয়া উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট উম্মে কুলছুম মিনুর স্বামী।
মামলায় আসামী করা হয়েছে; একই গ্রামের আবদুল জব্বারের পুত্র মাহবুবুল আলম ও ইসমাইলের পুত্র বদর আলম গংকে।
মামলা রেকর্ড হওয়ার পর কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় এবং বাদী-জমি মালিক পক্ষকে হুমকি ধমকি অব্যাহত রাখায় নিরুপায় হয়ে ১৯ জুলাই বিকাল ৩টায় চকরিয়া এডভোকেট’স এসোসিয়েশন কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন বলেন, পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আমিলাপাড়া গ্রামের পৈত্রিক ওয়ারিশী প্রাপ্ত এককানি জমি রয়েছে। যা আর.এস, বি.এস ও দিয়ারা খতিয়ান আমার দাদা ও পিতার নামে চুড়ান্ত প্রচার রয়েছে। সম্প্রতি ভূমিদস্যুরা ওই জমিতে সন্ত্রাসী কায়দায় দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বেশ কয়েকবার দখলের চেষ্ঠাও চালিয়েছে। জমি দখল না দিলে দশ লাখ টাকা চাদাও দাবী করে ভূমিদস্যু মাহবুবুল আলমসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
তিনি আরও বলেন, গত ৯ জুলাই সকাল ৯টার দিকে এলাকার মানুষ ঈদুল আজহা পালনে কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্থ ওইসময় ভূমিদস্যুরা সশস্ত্রভাবে তার জমি দখল করে নেয়। তারা জমির চারপাশে স্থায়ী পিলার নির্মাণও করেন। এসময় গিয়াস উদ্দিনের চাষিরা বাধা দিলে ভূমিদস্যুরা অবৈধ অস্ত্র দ্বারা ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে।
আইনজীবি গিয়াস উদ্দিনের ছোট ভাই মাষ্টার জহির আহমদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সন্ত্রাসীরাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, কক্সবাজার-এ ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারামতে এম.আর- ৩৫২/২০২১ইং মামলাও করা হয়েছে। আদালত জমিতে অনধিকার প্রবেশে বারিত আদেশ দেয়া সত্ত্বেও অভিযুক্তরা সম্পত্তিতে গৃহ নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে অবৈধভাবে ১০লাখ টাকা চাঁদা করেন। এঘটনায় তিনি (এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন) বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চকরিয়ায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনকে মামলা দায়ের করলে আদালত তা আামলে নিয়ে থানাকে এফ.আই.আর হিসাবে গন্য করার নির্দেশ প্রদান করেন। ফলে পেকুয়া থানা জি.আর-১০৭/২২ইং রুজু করেন। উক্ত মামলায় অদ্যাবধি কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উর্ধ্বেতন কর্তৃপক্ষের কাছে আইনী সহায়তা কামনা করেন। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া এডভোকেট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এডভোকেট লুৎফুল কবির, বর্তমান সভাপতি এডভোকেট হাবিব উদ্দিন মিন্টু, এডভোকেট মো: ইব্রাহিম, এডভোকেট নুরুল কবির, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সাঈদুর রহমান জিকু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো: ওমর ফারুক প্রমূখ।