মুজিববর্ষে দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না দেশের অন্যান্য উপজেলার মতো কক্সবাজারের চকরিয়ায় ৪০পরিবারকে ঘর দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে দেওয়া হবে জমির দলিলও। এছাড়াও মালুমঘাট মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৮টি পরিবারের সদস্যদেরকেও ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২১ জুলাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে সারাদেশে ঘরগুলো ভিডিও কনপারেন্সের মাধ্যমে উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করবেন।
জানা যায়, ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৪৩০টি তৃতীয় পর্যায়ের ২১০টি সহ মোট ৬৪০টি পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল ২১০টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষে দলিলসহ হস্তান্তর করা হয়েছে। ২১ জুলাই ৪০ পরিবারের মাঝে চকরিয়া উপজেলার পূর্ববড়ভেওলা নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো তুলে দেওয়া হবে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ঘরগুলো নির্মাণ কাজের শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার মুজিববর্ষে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনরাই পাবেন এ ঘর গুলো।
পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারহানা আক্তার মুন্না মাতামুহুরীকে বলেন, তার ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৪০টি ঘরের নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। সারাদেশের মতো পূর্ববড়ভেওলায় ইউনিয়নের গৃহহীনদের মাঝে ঘর ও দলিল হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও গত ৮ ফেব্রæয়ারি মালুমঘাট সড়ক দূর্ঘটনায় একই পরিবারের ৬ ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ৬ নারী একসাথে বিধবা হয়। মারাত্মক দূর্ঘটনাটি সবশ্রেণির মানুষের মনে নাড়া দেয়। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দেশের মানুষ। বিভিন্ন শ্রেণিরপেশার মানুষ ও সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারের সদস্যদের ঘর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মালুমঘাট এলাকায় তাদের পরিবারের একই জায়গায় ৮টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান মাতামুহুরীকে বলেন, ২১ জুলাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছেন। এরমধ্যে চকরিয়া উপজেলার ৪০ পরিবারকে দলিল সহ ঘর হস্তান্তর করা হবে। এছাড়াও সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৮ পরিবারের মাঝে দলিলসহ গৃহ হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্মিত ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া শেষ হলে তালিকাভুক্ত ১৮৮টি পরিবার অবশিষ্ট থাকবে। সরকারি খাসজমি পাওয়া না গেলেও প্রয়োজনে জমি ক্রয় করে তাদের ঘর দেওয়া হবে। তাছাড়া বাদ পড়া গৃহহীন তালিকা তৈরি করে শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে।