কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সদর প্রেসক্লাবের সদস্য কাজী তামজিদ পাশার উপর হামলার ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলায় আসামীরা হলো, চৌফলদন্ডির বহুল আলোচিত এবং বিতর্কিত ব্যক্তি বদিউল আলম আমির, তার ছেলে রাকিব আমির, স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এবং ভাইপো শাকিল আমির।
মামলার বাদী তামজিদ পাশা জানান, ৩১ আগষ্ট বিকালে কক্সবাজার জেলা পরিষদে চৌফলদন্ডি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটির বিষয়ক এক সভা অনুষ্টিত হয়। এতে বদিউল আলম আমির তার ভাইপোকে নেতৃত্বে আনার জন্য আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে আমরা সে বিষয়ে আলাপ আলোচনা চলাকালীন হঠাৎ করে আসামীরা সহ আরো কয়েকজন এসে আমাদের আমার উপর হামলা করে। তারা আমার মটর সাইকেল ছিনিয়ে নেয়, এতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা লোটাস ও আহত হয়। পরে খবর পেয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা আসার আগেই তারা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আমি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির উপর হামলার ঘটনায় তাৎক্ষনিক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ করেও পরিস্থিতি শান্ত রেখে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু সেটা মামলা না করার জন্য সদর উপজেলার এক শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতা আসামীদের পক্ষ থেকে তা দফারফা করতে মরিয়ে হয়ে উঠে এবং থানায় মামলা না নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। একই ব্যক্তি সম্প্রতী খুরুশকুলে নিহত সদর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা ফয়সাল হত্যাকান্ডের সময়ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। তার ইশারাতেই অনেকটা হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবী করেন। এছাড়া পিএমখালীর আলোচিত মোর্শেদ বলী হত্যাকান্ডের আগে পরে তার ভুমিকা সব চেয়ে ন্যাক্কার জনক ছিল বলেও জানান স্থানীয়রা।