হোটেল বীচ ওয়ার্ল্ড এবং আলম গেস্ট হাউসের পর এবার হোটেল সী কক্স এর স্টাফ কোয়ার্টার থেকে ম্যানেজার খালেদ আশরাফ বাপ্পীর (২৪) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৬ আগষ্ট) দিবাগত রাত এগারোটার দিকে হোটেল সী কক্সের স্টাফ কোয়ার্টারের একটি কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে সহকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে আসে।
নিহত আশরাফ বাপ্পী পিএমখালী বাংলা বাজারস্থ নোয়াপাড়া এলাকার প্রবাসি আব্দুল গফুরের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা মুফিজ নামে এক যুবককে হাসপাতালে আটকে রেখেছে।
হোটেলের এজিএম রিদুয়ান হাসান বিপু মাতামুহুরীকে বলেন, বাপ্পী সকাল ৬ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ডিউটি করেছেন। স্টাফ কোয়ার্টারে গিয়ে মূলত দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। ডিউটি পালনরত অবস্থায় তিনি খুবই স্বাভাবিক ছিলেন। আমরাও বুঝতে পারছি না কেন সে আত্মহত্যা করবে। সে আত্মহত্যা করতে পারে এমন ছেলে নয়। তিনি বলেন, হোটেলে ম্যনেজারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি টুকটাক ব্যবসাও করতো সে। মোবাইল ফোনে টাকা লেনদেনের বিষয়ে বিভিন্ন সময় কথা বলতে শোনতাম।
হোটেল কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য মতে, রাত অনুমানিক এগারোটার দিকে সহকর্মীরা তাকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। পরে তার পরিবার কে খবর দেয়া হয়।
খালেদ আশরাফ বাপ্পীর মা রোকেয়া বেগমের বলেন, আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে এমন ছেলে নয়। তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলের সাথে মুফিজ নামের এক যুবকের সাথে ব্যবসার ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লেনদেন ছিলো।
মুফিজ টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে প্রতারণা করে আসছে। আমার ধারণা, ঠান্ডা মাথায় বাপ্পীকে হত্যা করা হয়েছে।
খালেদ আশরাফ বাপ্পীর ছোট ভাই রিহাদ জানান, আমাদের চাচা সম্পর্কের নুরুল আজিমের ফোনে একটি কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে বলা হয় বাপ্পী মারা গেছে আপনারা তাড়াতাড়ি আসেন।
আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।ঘটনার খবর পেয়ে হোটেল সী কক্স এবং স্টাফ কোয়ার্টার পরিদর্শন করছেন র্যাব-১৫ এর সদস্যরা।
কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম উদ্দীন জানান, আমাদের একটি টিম রাত থেকে কাজ করছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।