শোকের মাসে দলের কোন নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দেয়া আওয়ামী রাজনীতির শিষ্টাচার বিরোধী। আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছি যে গত ১৮-০৮-২০২২ইং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত প্যাডে সংগঠনের সদস্য আবসার উদ্দিন মাহমুদকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাকে অব্যাহতি দেয়ার ক্ষেত্র যে অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে তা গুরুতর কোন বিষয় নয়। দলীয় গঠনতন্ত্র দলের দায়িত্বশীল কাউকে অব্যাহতি দেয়ার বিধিগুলো লংঘন করা হয়েছে। আমরা তার স্ট্যাটাস পড়েছি। তার লেখাটিতে আমাদের সংগঠন ও নেতাকে ইঙ্গিত করা হয়নি। তবুও ফেইসবুকের লেখায় সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে মনে থাকলে তাকে শোকজ করা যেত। আমাদের জানা মতে তাকে শোকজ করা হয়নি। তাকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য যে জরুরি সভা দেখানো হয়েছে সে বিষয়ে আমরাও কিছু জানি না। সে আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তার বাবা মরহুম মাস্টার আবদুল মালেক অবিভক্ত চকরিয়া থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন। তিনি চকরিয়া ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। ইতিপূর্বে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক ছিলেন। দলের জন্য তার বাবা ও তার অবদানের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে তাতে অব্যাহতিদানের বিষয়টি প্রত্যাহার করে নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
বিবৃতিদাতা চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি সরওয়ার আলম, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক প্রফেসার একেএম গিয়াস উদ্দিন, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ার্যমান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জামাল উদ্দিন জয়নাল, কক্সবাজার জেলা কৃষকলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য, এসএম আলমগীর হোছাইন, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজবাউল হক, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শফিউল আলম বাহার, দপ্তর সম্পাদক মাস্টার আবদুল জলিল সদস্য অধ্যাপক আবদুল কাইয়ুম, জসিম উদ্দিন চেয়ারম্যান, অধ্যাপক শফিকুর রহমান, শ্রম সম্পাদক আলমগীর রাজু, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি, মোসলেহ উদ্দিন মানিক, সহ-সভাপতি আমান উদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা এডভোকেট ফয়জুল কবির ও সদস্য নুরুল আমিন টিপু।