কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের সিকদার পাড়ায় রাতের আধারে জহির আহমদ গং প্রায় এক একর পরিমাণ জমির ধানের চারা সন্ত্রাসী কায়দায় নষ্ট করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৫সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
এঘটনায় কোনাখালী ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের সিকদারপাড়া গ্রামের জহির আহমেদের মেয়ে ও হাফেজ শাহ আলমের স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদী হয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।
এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে মৃত ওদুল হাকিম আলীর পুত্র বদরুদ্দোজা, মৃত নুর আহাম্মদের ছেলে কাইছার হামিদ প্রকাশ বাটু, মৃত আবুল ফজলের ছেলে আব্দু ছত্তার, মৃত বশির আহমদের ছেলে নুর মোহাম্মদ সহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে।
অভিযোগে কোনাখালীর সিকদার পাড়ার জহির আহমেদের বড় মেয়ে ও হাফেজ শাহ আলমের স্ত্রী পারভীন আক্তার জানান, কোনাখালী মৌজার বি.এস খতিয়ান নং ১২, দাগ নং- ২৫৭৮ এর ৯ একর ৯৪ শতক জমির মালিক হন। তার পিতা জহির আহমদের দীর্ঘ ৪০ বছরের ভোগ দখলীয় উক্ত জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে ধান চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি সময় থেকে উক্ত জমির মধ্যে লুলোপ দৃষ্টি পড়ে চিহ্নিত ভূমিদস্যু চক্রের। জমির পাশ্ববর্তী জনৈক মোক্তার আহমদ ৪টি খতিয়ানের ১৩টি দাগ মিলে ১কানি ৪শতক জমির মালিক হলেও তিনি ভূমিদস্যু চক্রকে এক দাগে ২কানি জমি অবৈধভাবে বিক্রি করে। ফলে ভূমিদস্যুচক্রের সাথে এলাকার শান্তিপূর্ণ ও নিরীহ পরিবারের সাথে জমি নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত হয়। ঘটনার দিন ওই বিষয়কে কেন্দ্র করে অভিযুক্তরা বৃহস্পতিবার ভোররাত অনুমানিক ২টার দিকে ৩০-৪০ জনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে রোপিত আড়াই কানি পরিমাণে জমির ধানের চারা কেটে নষ্ট করে দিয়েছে। অধিকাংশ চারা উপড়ে ফেলেছে। পরে পাঁকা গুলি বর্ষণ করে পালিয়া যায়। এছাড়াও চারপাশে চাষযোগ্য চারা ধান মারাত্বকভাবে ক্ষতি হয়। ফলে ধানের জমির চারা রোপন, সার, কীটনাশক, শ্রমিক মজুরী ও সেচের যাবতীয় খরচসহ অন্তত ১লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিসাধিত হয়েছে।
এনিয়ে ভুক্তভোগি পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগি পরিবার জরুরী ভাবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। থানা কিংবা আদালতে মামলা না করতে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে বর্তমানেও হুমকি ধমকি অব্যাহত রেখেছে অভিযুক্তরা।
এলাকাবাসী জানান; ওই এলাকার আবু বক্করের ছেলে শহীদুল্লাহ ও মৃত নূরুল কবিরের ছেলে আবদুল্লাহ নোমান সৌদিতে থাকেন। শহীদুল্লাহ ও আবদুল্লাহ নোমানের টাকায় কেনা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা রাতের আধারে ধানের রোয়া নষ্ট করে দেয়ার ন্যাক্কারজনক এ ঘটনাটি করেন। যা খুবই দুঃখজনক।
জহির আহমদের ছেলে মিজান জানান, তারা এ ব্যাপারে মামলা করবেন।
জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।