কক্সবাজারের পেকুয়ায় দুই স্কুল ছাত্রকে প্রাণনাশের চেষ্ঠা চালানো হয়েছে। এ সময় ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। ওই ২ জনকে অপহরণ করে একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখা হয়। জখমী ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল আড়াইটার দিকে উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের এসডি সিটি সেন্টারের নিকট এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রের নাম আবদুল হামিদ (১৭)। সে পেকুয়া জিএমসি ইনষ্টিটিউশনের ৯ম শ্রেণির ছাত্র ও মগনামা ইউনিয়নের বাইন্যাঘোনা গ্রামের জাফর আলমের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওইদিন বিকেলে ৯ম শ্রেণির ছাত্র আবদুল হামিদ ও তার সহপাঠী পেকুয়া স্মার্ট স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্র প্রতিবেশী মো. বেলালের পুত্র মো. সাকিব নিজ বাড়ি বাইন্যাঘোনা থেকে পেকুয়া কলেজ গেইট চৌমুহনীর দিকে আসছিলেন। হামিদের ভগ্নিপতি নেজাম উদ্দিনকে দেওয়ার জন্য ৩০ হাজার টাকা বাড়ি থেকে আনে। নেজাম উদ্দিন চৌমুহনীতে অপেক্ষা করছিলেন। পথিমধ্যে পেকুয়া কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের বাণিজ্যিক ভবন ও শপিং মল এসডি সিটি সেন্টারের সামনের প্রধান সড়কে ওই দুই ছাত্রকে গতিরোধ করা হয়।
এ সময় জিএমসির ছাত্র ও মগনামা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী আবদুল হামিদকে টানা হ্যাঁচড়া করে এসডি সিটি সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সহপাঠী সঙ্গে থাকা মো. সাকিব ও সেখানে পৌছে। এসময় আবদুল হামিদকে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। তার আত্ম চিৎকারে সাকিব তাকে উদ্ধার করতে যায়। হামলাকারীরা সাকিবকে ওই মার্কেটের তৃতীয় তলার একটি কক্ষতে প্রায় ১ ঘন্টা আটকিয়ে রাখে।
এসময় আবদুল হামিদের কাছ থেকে প্রেরিত টাকাগুলি তারা ছিনিয়ে নেয়।
আবদুল হামিদ জানান, মগনামা ইউনিয়নের বাজারপাড়ার বিএনপি নেতা আবু ছালেকের ছেলে বারেক আজিজসহ ১০/১৫ জনের দুবৃর্ত্তরা আমাকে প্রাণনাশ চেষ্টা চালায়। তারা আমাকে টানা হ্যাঁচড়া করে অজ্ঞাত স্থানের দিকে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। আমার বন্ধু ও স্মার্ট স্কুলের ছাত্র ছাত্রলীগ কর্মী সাকিব আত্মচিৎকার করছিল আমাকে বাঁচানোর জন্য। এ সময় বারেক আজিজসহ দুবৃর্ত্তরা তাকেও টানা হ্যাচড়া করে মার্কেটের তৃতীয় তলায় নিয়ে গিয়ে প্রায় ১ ঘন্টা আটকিয়ে রাখে। হামলাকারীরা সঙ্গবদ্ধচক্র। তারা এর আগে সাকিবের মুঠোফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমি বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলাম। তারা বিষয়টি টের পেয়েছিল। পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা অবস্থায় বাজারে পৌছামাত্র আমাদেরকে গতিরোধ করা হয়। আবদুল হামিদের মা মাবিয়া খাতুন বলেন, আমার ছেলেকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। টাকা ছিল ৩০ হাজার। সে গুলি কেড়ে নেওয়া হয়। সাকিবের মা রাহেলা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছে। হোসনে আরা ও মনোয়ারা বেগম বলেন, আমরা হাসপাতালে এসেছি তাদেরকে দেখতে। পেকুয়া থানার ওসি ফরহাদ আলী জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।