কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কার্যালয়ের কর্মচারী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লিটন কান্তি দাশের পরিবার স্থানীয় একটি দখলবাজ চক্রের কাছে জিন্মিদশায় পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পৈত্রিক ওয়ারিশী ও কেনা জমি রক্ষায় আদালতের আশ্রয় নিয়েও পরিবারটি নানাভাবে হয়রানি ও হুমকি ধমকির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী লিটন কান্তি দাশ।
লিটন কান্তি দাশ বলেন, চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী মৌজার হিন্দুপাড়া গ্রামের ১৫ দশমিক ২০ শতক জমির পৈত্রিক ওয়ারিশ হিসেবে মালিক তার বাবা অরবিন্দু কান্তি দাশ। তার মধ্যে পাঁচ শতক বা ১৫ কড়া জমি তাদের কেনা জমি। উল্লিখিত জমির বিপরীতে নামজারি জমাভাগ খতিয়ানও সৃজিত হয়েছে। এতদিন ওই জমিতে বসতঘর নির্মাণপুর্বক লিটন দাশের পরিবার শান্তিপুর্ণভাবে বসবাস করে আসলেও কয়েকবছর ধরে বসতঘরের পাশের কিছু জমি জবরদখলে মরিয়া উঠে আপন চাচা সুসেন মালাকার ও একই এলাকার নেপাল সিকদার।
লিটন কান্তি দাশ বলেন, ২০১৭ সালে প্রথমবার দখলচেষ্টার ঘটনায় আমি জড়িতদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা (এমআর ৭৫২/১৭) করি। ওই মামলার তদন্তরিপোর্ট জমির মালিকানা আমাদের বলে চিহ্নিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারায় আদেশ জারি করে আদালত।
এরপর অভিযুক্তরা বেশকিছু দিন দখল চেষ্টা থেকে বিরত থাকলেও ফের কয়েকমাস ধরে আমার বসতভিটার জমি দখলে তৎপর হয়ে উঠে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ইতোমধ্যে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নতুন একটি এমআর মামলা (১৬০৩/২২) রুজু করি। শুনানি শেষে আদালত ১৪৪ ধারার আদেশ দেন। একইসঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমিকে ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যবস্থা নিতে চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগী জমি মালিক লিটন কান্তি দাশ বলেন, আদালতের নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করে অভিযুক্ত সুসেন মালাকার ও নেপাল সিকদার গং জবরদখল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হলে প্রথমে অভিযুক্তদের সেখানে কাজ না করতে পুলিশ বারণ করে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দখলবাজি অব্যাহত থাকায় পুলিশকে অভিযোগ করা হলেও কোনধরনের প্রতিকার মিলছে না।
এ অবস্থায় সর্বশেষ গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হয়ে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে বাড়িভিটায় ঢুকে ২০/৩০টি বাঁশ গাছ কেটে ও বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দখল চেষ্টা চালায়।
লিটন কান্তি দাশ অভিযোগ করে বলেন, আমার বাড়িতে হামলার ঘটনায় থানা ও আদালতে আইনের আশ্রয় নিতে চেষ্টা করেও সাহস পাচ্ছি না। কারণ অভিযুক্তরা স্থানীয় একটি দাপটশালী মহলের আশ্রয় পশ্রয়ে থেকে জবরদখল চেষ্টার পাশাপাশি উল্টো আমার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি ও হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। এখন বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে এলাকা ছাড়া করবে, তারপর আমাদের জমি তাঁরা দখলে নেবে বলে শাসাচ্ছেন। এই অবস্থায় আমি সরকারি অফিসের একজন সাধারণ কর্মচারী হিসেবে আমার পরিবারের বসতভিটাটি দখলবাজ চক্রের হাত থেকে রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।