কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়া এলাকার প্রবাসী অলি আহমদ। গত ৫ মার্চ পাহাড়ের গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দিন দুপুরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনায় জড়িত থেকেও বাদ পড়া আবুল আহাম্মদ মনু (৪৫), আবদু সত্তার পুতিয়া (৩৫), জাহানারা বেগম (৩৭) কে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী শাহাব উদ্দিন চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হোসাইনের আদালতে এই আবেদন করেন। বিচারক বাদীর আবেদন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিকট প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। গত বিশদিনেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় সাংবাদিকদের দারস্থ হন বাদী শাহাব উদ্দিন।
মামলার বাদী শাহাব উদ্দিন বলেন, গত ৫ মার্চ আমার ভাই অলি আহমদকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মামলার এজাহার দেওয়ার সময় সকলের নাম উল্লেখ করা ছিল। কিন্তু পুলিশ উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে ছয় জনকে মূুুল আসামী করে ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে এজাহার গ্রহণ করে। পরে হত্যাকান্ডে জড়িত আরও আসামী বাদ পড়ার কথা বলার পর কোন ধরনের সুরাহা না পেয়ে আদালতের দারস্থ হয়ছি। আদালতে আবেদন করা নতুন আসামী অন্তর্ভুক্ত না করে মূল এজাহার নামীয় আসামী মামলা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক এস আই মিন্নত আলী। এতে আমি ভাইয়ের ন্যায় বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কায় আছি।
নিহতের ভাই আব্দু সত্তার বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিল পেকুয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক এস আই আল আমিন। তিনি আমাদের কাছ থেকে কোন দিন অনৈতিক সুবিধা নেওয়ায় কথা বলেনি। আল আমিন বদলি হওয়ার পর মামলাটি তদন্ত করতে পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক এস আই মিন্নত আলী কে দেওয়া হয়। তিনি টাকা ছাড়া কথা বলে না। মামলাটি তার হাতে যাওয়ার পর থেকে অনেক টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন বিবাদীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মামলা থেকে আসামী বাদ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন মামলার অন্যতম আসামী আবদুল গণিকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক এস আই মিন্নত আলী বলেন, শিলখালীর অলি আহমদ হত্যার ঘটনায় নতুন আসমাী অন্তর্ভুক্ত করতে আদালতে বাদীর আবেদনের কপি হাতে পেয়েছি। তদন্তে তাদের জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেলে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে বাদীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ায় কথা অস্বীকার করেন তিনি।