সড়কে গাড়ি থামিয়ে নারীর শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা শেকাব উদ্দীনের বিরুদ্ধে।
বৃহষ্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় কুতুবজোম পশ্চিম পাড়া মসজিদের সামনে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে মহেশখালী থানা পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী ১নং ওয়ার্ড ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন কোম্পানি জানান- বিকেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে দেখা করার জন্য নেতাকর্মীরা সহ ৩টি সিএনজি নিয়ে ঘটিভাঙ্গা গ্রাম থেকে রওয়ানা দেয়। কুতুবজোম বটতলা বাজারে পৌঁছালে জনৈক কাসেমের নেতৃত্বে একদল তাদের বাঁধা দেয়। তখন তারা পশ্চিমপাড়া হয়ে কালামিয়া বাজার সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরে যাওয়ার পথে কালামিয়া বাজারে পৌঁছালে মেম্বার শেকাব উদ্দীন অস্ত্রসস্ত্রসহ দলবল দিয়ে গাড়ি আটকায়। এসময় গাড়িতে থাকা আমির হোসেন, তার চাচাতো বোন রহিমা খাতুনকে (ছদ্মনাম) সহ ৪/৫ জনকে মারধর করে। এ সময় রহিমা খাতুনের পরনের কাপড়চোপড় ছিঁড়ে ফেলে মেম্বার শেকাব উদ্দীন।
তিনি আরো জানান- ঘটনার পর তারা গ্রামে ফিরে যান। ঘটনার বিষয়টি উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দদের অবগত করেছেন। রাতের মধ্যেই তারা মামলা জমা দিবে।
তবে অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে ইউপি সদস্য সেকাব উদ্দীন জানান- মৌলানা জিয়াউর রহমান হত্যাকান্ডের আসামী পালিয়ে যাচ্ছে এমন খবর পেয়ে পরিষদের সামনে সিএনজি গুলো থামিয়েছি। এখানে কোন ঘটনা ঘটেনি।
এই বিষয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রনব চৌধুরী জানান- ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কোন ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয় সেই বিষয়ে সজাগ রয়েছেন।