আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে চকরিয়া উপজেলা সাধারণ ওয়ার্ডের ( নং ০৬) সদস্য প্রার্থী আবু তৈয়ব এর প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। তিনি দুইটি ফৌজদারি মামলায় আসামি হলেও সেই তথ্য গোপন করে অনুষ্ঠিতব্য কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে চকরিয়া উপজেলা সাধারণ ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হন।
জানা গেছে, রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দেওয়া হলফনামায় সদস্য প্রার্থী আবু তৈয়ব মামলায় আসামি হওয়ার বিষয়টি গোপন করেন। উল্লেখিত বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে আপীল করেন চকরিয়া উপজেলা সাধারণ ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনে অংশনেয়া অপরপ্রার্থী এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম।
বৃহস্পতিবার ২২ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) এর কার্যালয়ে ( আপীল কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২২) আপীল শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আপীল বিভাগের প্রধান ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড.প্রকাশ কান্তি চৌধুরী শুনানীতে তথ্য গোপনের বিষয়টি সত্যতা পেয়ে সদস্য প্রার্থী আবু তৈয়ব এর প্রার্থীতা বাতিল করেন।
আবেদনকারী অপর সদস্য প্রার্থী এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সদস্য প্রার্থী আবু তৈয়ব ফৌজদারি মামলার আসামি হলেও তিনি নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন। বিষয়টি জানিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে আপীল বিভাগে অভিযোগ দিই।
বৃহস্পতিবার শুনানীতে আপীল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ মঞ্জুর করেছেন। ফলে সদস্য প্রার্থী আবু তৈয়বের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে। প্রসঙ্গত সদস্য প্রার্থী আবু তৈয়ব বিলুপ্ত হওয়া কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী অঞ্চল থেকে বিজয়ী হন।
এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থীর প্রস্থাবকারী মাতামুহুুরী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ফেসবুক স্ট্যাটাস জানান, আবু তৈয়ব এর বিরুদ্ধে ২০১০ ইং একটি ফৌজদারি মামলা হয়েছিল। ২০১২ সালে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। তিনি খালাস পান। ২০১৭ সালের জেলা পরিষদ নির্বাচনে এবং ২০২১ সালের ইউনিয়নের পরিষদ নির্বাচনে তার প্রার্থীতা বাতিল হয় নাই। এবারেও রিটার্নিং কর্মকর্তা তার প্রার্থীতা বহাল রেখেছিলেন। দশ বছর আগে খালাস পাওয়া মামলায় প্রার্থীতা বাতিল কি আপিল করার সুযোগ রাখে না? দু বছরের উপর সাজা হলেই প্রার্থীতা বাতিল হয়। তিনি আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।তিনি সাজা প্রাপ্ত আসামি নন। দশ বছর আগে খালাস পাওয়া আসামি।