কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাং ছড়াখাল থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে একদল বালু সিন্ডিকেট সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। তারা ছড়াখালে বাঁশের ভেলা বেঁধে তার উপর পাওয়ারফুল মেশিন বসিয়ে দিনে রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে চলেছে। এতে খালের দুইপাশের ঘরবাড়ি, ফসলী জমি, রাস্তা ঘাট ভেঙে নদীতে বিলিন হচ্ছে। পাশাপাশি হুমকির মধ্যে পড়েছ নিকটবর্তী সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র্য।
এলাকাবাসী বাধা দিলেও বালু সিন্ডিকেট গ্রæপ তার তোয়াক্কা করছে না। বরংচ সন্ত্রাসীরা উল্টো এলাকাবাসীকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের উত্তর হারবাং ৮নং ওয়ার্ডের গয়ালমারা এলাকার ভান্ডারীর ডেবা হারবাং ছড়াখালের বিশাল অংশ জুড়ে মেশিনে বালু উত্তোলন করে লুটপাটের মহোৎসব চালাচ্ছে এসব বালু সিন্ডিকেটরা।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবরে ২৫ সেপ্টেম্বর (রবিবার) দেয়া এক অভিযোগে জানা যায় ওই এলাকার চাদমিয়ার ছেলে চিহিৃত ভূমিদস্যু অবৈধ বালু ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান, ইসরাফিলের ছেলে আব্দুল খালেক, মৃত নুরুল করিরের ছেলে মো. আরিফ, শফি আলমের ছেলে মোজাম্মেল হক, নুরুল ইসলামের ছেলে হেলাল উদ্দিন সহ একদল বালু সন্ত্রাসী হারবাং ছড়াখাল থেকে গত এক সপ্তাহ যাবত ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে চলছে। এতে খাল ভেঙে ৭-৮টি বসত বাড়ি ভেঙে গেছে। ফসলী জমি ও মানুষের হাটা চলার পথ ও ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সংরক্ষিত বনভুমি ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের পথে বসেছে।
এদিকে এলাকাবাসী তাদের অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দিলে বালু সিন্ডিকেট চক্র উল্টো এলাকাবাসীর উপর হামলে পড়ে। তাদের নানা ভাবে হুমকি দিতে থাকে। যে কোন সময় চোরাই বালু ব্যবসায়ীরা নিরীহ এলাকাবাসীকে হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এব্যাপরারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে আমরা এটির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হককে মুঠোফোনে কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।