জায়গা জমি দখল, চাঁদাবাজি ও হামলার ঘটনায় তিনব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাঁজা দিয়েছে আদালত। গত ২৩ আগস্ট চকরিয়া উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জিআর ৬৬৭/১৪ মামলায় তাদের সাঁজা প্রদান করেন। এরমধ্যে হেলাল উদ্দিনকে চার বছর, সাহাব উদ্দিন দুই বছর ও সাদ্দাম হোসেনকে এক বছর সাজা দেওয়া হয়। তাদের বাড়ি চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাজিয়ান এলাকায়। রায় প্রদানের পর আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় তারা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদি নুরুল হুদা। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এখনো তাদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। জমি দখল, চাঁদাবাজি ও হামলার ঘটনায় গত ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নুরুল হুদা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে মামলার বাদী নুরুল হুদা জানান, তার মাতা-মৃত আনোয়ারা বেগমের রেকর্ডের হিস্যাংশ সম্পুর্ণ জমি গত ১৭/১১/১৯৮১ইং ৩৮১৩নং ও ১৮/১১/৮১ ৩৮২৪নং কবলার রুহুল আমিন গং পিং মৃত মৌঃ সমসুল হুদা। আকতার আহামদ গং, পিতা-মৃত মফজল আহমদকে হাজিয়ান, লোটনী, কাকারা, কোচপাড়া, খোয়াজ নগর ৫ মৌজায় ৮৯.৫০ একর জমি বিক্রি করে দেন। দলিল গ্রহিতা আক্তার আহমদ ও রুহুল আমিন ওই দলিলের অনুবলে আবুল হাসেম নামক ব্যক্তিকে ৯/৪/৯২ইং ১৫৬৬ নং কবলায় ২০ শতক জমি বিক্রি করে দিলে হাজিয়ান মৌজায় সৃজিত বি,এস ১৮৭, ১৯০, ৩৪৩ নং খতিয়ান হয় এবং ওই দলিলের অনুবলে রুহুল আমিন ও সাইফুল ইসলাম, শমশুল আলম নামক ব্যক্তিকে ১১/৩/৯১ইং ১১৩২ নং কবলায় ২৭ শতক জমি বিক্রি করে। উক্ত মতে মৃত দানু মিঞা ভোগ দখলে আছে। উক্ত দলিলের অনুবলে গ্রহীতা মৌলভী সাইফুল গং ১১/৩/৯১ইং তারিখের ১১২৮নং কবলার লোটনী মৌজায় আব্দুল মজিদ নামক ব্যক্তিকে ২০ শতক জমি বিক্রি করেন-তাহা দখলে আছে। বর্তমানে জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় লোভের বশবর্তী হইয়া হেলাল উদ্দিন ও তার মাতা আনোয়ারা বেগম হইতে পুনরায় হেবা দলিল নং-৩৭৯২ তাং-২১/৬/১১ইং নিয়ে আনোয়ারার পূর্বে বিক্রির এবং চকরিয়া সহকারী জজ আদালত অপর ৩৫৫/১১ইং মামলা চলমানের তথ্য গোপন রাখিয়া হেলাল উদ্দিনের নামে হাজিয়ান মৌজায় ফেরবী সৃজিত বি,এস খং নং-২৪৪, ৩৪৯ ও লোটনী মৌজার সৃজিত বিএস ৭৪৯, ৪টি বেআইনী নামজারী খতিয়ান করে। একই রকম হেলালের আপন মামা নবী হোছন এর রেকর্ডের হিস্যা অংশ জমি বাদী মামলার বাদী নুরুল হুদাকে ১৯৮২ সালে ২ কবলায় ৩০ শতক জমি বিক্রি করেন। অবশিষ্ট জমি ভিন্ন ব্যক্তিকে আরো ১১টি কবলায় প্রাপ্তের চেয়ে অতিরিক্ত জমি বিক্রি করে দিয়া উক্ত নবী হোছন চিরতরে নিঃস্ববান হইয়া যায়। নুরুল হুদা অসহায় হওয়ায় হেলালকে মাস্তান ধরিয়া দখল দেয়া জমি বেদখ করায় উক্ত ঘটনা হয়। বর্তমানে হেলাল তার লোকজন নিয়ে নুরুল হুদাকে প্রাণে হত্যা এবং মিথ্যা মামলায় জড়াইবার প্রচেষ্টা রহিয়াছে। এলাকায় শান্তি শৃংখলা রক্ষার স্বার্থে হেলালকে গ্রেফতার করে দ্রæত সাজা পরোয়ানা করার জন্য বাদীর আকুল আবেদন। বাদীর সহায় সম্পত্তির কোন নিরাপত্তা নাই। সাজাপ্রাপ্ত হেলালের বিরুদ্ধে চকরিয়া আদালতেও থানায় ২০/১২ইং, জি.আর ৬১০/১২ইং, জি.আর ৬৭/১৩ ইং, জি.আর ৪৮/১২ইং, জি.আর ৯/১২ইং, সি.আর ১০৪৩/১৬ইং, সি.আর ৬০/১৩ইং, সি.আর ৭৭৬/২০ইং, যুগ্ম ১ম আদালত কক্সবাজার এসটি ১০৮৮/১৫ইং জেলা দায়রা জজ আদালত কক্সবাজার, আপীল ১৩৩/১৯ইং, ব্যাংক চুরিসহ আরো ৩/৪টি ছিল মামলা রহিয়াছে।