সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার রোববার ছিল মহাসপ্তমী। চকরিয়া উপজেলার হিন্দু-ধর্মাবলম্বীরা পূজামন্ডপ গুলোতে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পূজা-অর্চণার মাধ্যমে মহাসপ্তমী উদযাপন করে। দূর্গাভক্তরা দেবীর আরাধনায় পূজামন্ডপ গুলোতে দিনভর ভিড় জমায়। যেন উৎসবে পরিণত হয়।
২ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা- রাত ৯টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপ গুলো পরিদর্শন ও সনাতনী ধর্মালম্বীদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী। তিনি মন্ডপ গুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। তাদের খোজখবর নেন। তার সাথে রাজনৈতিকদলের নেতা ও মন্দির কমিটির নেতৃবন্দরাও উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল সাঈদীকে ক্রেস্ট তুলে দেন ডুলাহাজারা কেন্দ্রীয় হরিমন্দির কমিটির নেতারা।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, পূজারীরা নির্ভিগ্নে মন্ডপে আসতে পারে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিমা ও ঘট পুঁজাসহ মোট ৯১টি পুঁজা মন্ডপে দূর্গোৎসব পালিত হচ্ছে। এরমধ্যে প্রতিমা পূঁজা ৪৮টি আর ঘট পূঁজা ৪৩টি। এসব পূজা মন্ডপ গুলোতে মন্দির কমিটির নেতাদের মাধ্যমে বরাদ্দ পৌছে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে নেতাকর্মীদের মন্দির গুলোতে স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব পালন ও মন্দির গুলো পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন। মন্ডপ গুলোতে সবধর্মের মানুষের উপস্থিতি লক্ষনীয়। এভাবে আমাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে হাজার বছরের বাঙ্গালীর সম্প্রীতি।