ছাত্রলীগ নেতা আকিত হোসেন সজিবের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পুরো চকরিয়াসহ পৌরশহর। হামলার ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জড়িত বলে দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
গত ৫ অক্টোবর বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটাস্থ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ মারুফ আদনানের বাসার নিচে ছাত্রলীগ নেতা আকিতকের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনাদের নির্দেশে শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরের নেতৃত্বে হামলা করেছে বলে দাবী করেছেন চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আকিত হোসেন সাজিদ।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিলটি চিরিঙ্গা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানা রাস্তার মাথায় গিয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ছাত্রলীগের সভাপতি আরহান মাহামুদ রুবেল, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেল ও বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য রাখেন।
মিছিলে তারা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনাদের নির্দেশে শহর ছাত্রলীগ নেতা মনির সহ ১০-১২ জন সন্ত্রাসী হামলা করেছে বলে বক্তব্য রাখেন।
ছাত্রলীগ নেতা আকিত বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। সাংগঠনিক কার্যক্রম না থাকায় অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ে ছাত্রলীগ। এরপরও আমরা দলের কার্যক্রম চালিয়ে আসছি।
গত ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আরহান মাহামুদ রুবেলকে সভাপতি ও আমাকে সাধারণ সম্পাদক করে চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব দেন। এরপর থেকে গতিশলীতা আসে ছাত্রলীগের মধ্যে।
২৯ সেপ্টেম্বর জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশে উপজেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা ডাকা হয়। সেখানে নিস্ক্রিয় ও মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে পড়া খুটাখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, চিরিঙ্গা, কাকারা ও বরইতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার সিদ্বান্ত নেওয়া হয়। প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চার ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করি। চার ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা মেনে নিতে পারেনি জেলা ছাত্রলীগ।
আতিক আরও বলেন, চার ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার দেওয়ার পরপরই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ওই চার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে বিষয়টি জানানোর কারণে বিষয়টি ভালভাবে নেননি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
ছাত্রলীগ নেতা আকিত আরও বলেন, গত ৫অক্টোবর আমার সভাপতি আরহান মাহামুদ রুবেলসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে দেখা করি। প্রথমে সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সাথে দেখা করি। ওইসময় তিনি সাধারণ সম্পাদকের সাথে দেখা করতে বলেন। রাত দশটার সময় কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটাস্থ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানের বাসায় গিয়ে সাক্ষাত করি। এক ঘন্টা পর বাসা থেকে নামামাত্র শহর ছাত্রলীগ নেতা মনিরের নেতৃত্বে ১০-১২জন সন্ত্রাসী আমার উপর হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে দ্রæত পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। হামলার ঘটনাটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অবহিত করেছি। আমরা আইনী ব্যবস্থাও নেবো।