সড়ক বিভাগের অধিগ্রহণের কোটি টাকার জায়গা জবরদখলের ঘটনা ঘটেছে। চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা এমরানের নেতৃত্বে দখলবাজ চক্র ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতাদের আশ্রয়ে গত দুই সপ্তাহ আগে সড়ক বিভাগের ওই জায়গা দখলে নিয়ে সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
অভিযোগ উঠেছে, সড়ক বিভাগের ওই জায়গা দখলে নিতে গিয়ে অভিযুক্ত এমরান আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা ছাড়াও সড়ক বিভাগের লোকজনকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করেন৷ এ সুযোগে দখলকান্ডে তাকে কোন ধরনের বেগ পেতে হয়নি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসির কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে চকরিয়া প্রেসক্লাবের কয়ে়কজন সাংবাদিক সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি অবহিত করেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলীকে। ওইসময় তিনি আশ্বাস দেন সহসা অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা সমুহ উচ্ছেদ করে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সড়ক বিভাগের বেদখল হয়ে পড়া জায়গা উদ্ধার করা হবে। বুধবার ১২ অক্টোবর থেকে চকরিয়া সড়ক উপবিভাগের লোকজন বেদখল হওয়া এসব জায়গা উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.শাহে আরেফিন বলেন, চকরিয়া উপজেলার যেসব পয়েন্টে সড়ক বিভাগের জায়গা বেদখল হয়েছে তা অবশ্যই উদ্ধার করা হবে। দখলবাজিতে জড়িতরা যতই ক্ষমতাধর হোক কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না।
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, মহাসড়কের পাশে সড়ক বিভাগের জায়গা দখলে নিয়েছিলেন এমরান নামের একজন। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন। পরে অভিযোগে সত্যতা পেয়ে ১২ অক্টোবর (বুধবার) সহকারী প্রকৌশলী (এসও) দিদারুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে অবৈধ দখলদারের স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছেন সওজের কর্মচারীরা।
চকরিয়া সড়ক বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী (এসও) মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, দখলবাজ চক্রে জড়িতদের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা যখনই দখল চেষ্টায় বাঁধা দিই, তখন তারা ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতাদের ব্যবহার করেন, মুলত তাদের দিয়েই আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, অনুরূপভাবে চকরিয়া উপজেলা খাদ্য গুদামের পাশে দখলে নেয়া জায়গাটি নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন উচ্ছেদ পরবর্তী অবৈধ দখলদার এমরানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে সওজ কর্তৃপক্ষ।