বহুল প্রত্যাশিত বান্দরবান পার্বত্য জেলা ছাত্রলীগের সন্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে বান্দরবান শহরের রাজার মাঠে জেলা ছাত্রলীগের সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে ৭ উপজেলা, ২ পৌরসভা, কলেজ ও ৩৪টি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড থেকে হাজার হাজার ছাত্রলীগের প্রাক্তন-বর্তমান নেতাকর্মী, সমর্থকরা ফেস্টুন, ব্যানার, প্লেকার্ড নিয়ে রাজার মাঠে দুপরে একত্রে উপস্থিত হলে ছাত্রদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। পার্শ্ববর্তী জেলা, উপজেলা থেকেও এসেছেন।
ঐতিহাসিক বান্দরবান রাজার মাঠে বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এর আগে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের সূচনা করেন অতিথিবৃন্দ।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউসার সোহাগ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জনি সুশীল এর সঞ্চালনায় উক্ত সন্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর (উশৈসিং) এমপি।
সম্মেলনের প্রধান অতিথি পার্বত্য মন্ত্রী ও ৩০০নং আসনের সাংসদ বীর বাহাদুর (উশৈসিং) এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা থেকে শুরু করে যেসকল উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তা তৃণমূল পর্যায়ে তুলে ধরার জন্য ছাত্রলীগকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, নতুন নেতৃত্বকে দলীয় কর্মীসহ শিক্ষার্থীদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়ানো, তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছাত্রলীগের নীতি-আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সব ধরণের ষড়যন্ত্র রুখে দাড়ানোসহ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহবান জানান।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বিএনপি নেতাকর্মীরা আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করছে। হুশিয়ারী উচ্চারণ করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য ছাত্রলীগ প্রস্তুত রয়েছে। নতুন কমিটিকে আগামী প্রজম্ম তৈরীর পাশাপাশি আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করার আহবান জানান।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। তিনি পাহাড় ও সমতলের নানা বিষয় ও ছাত্র রাজনীতি নিয়ে বক্তৃতা করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বান্দরবান জেলা আ.লীগের সভাপতি ক্য শৈহ্লা, সহ-সভাপতি আবদুর রহিম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত কান্তি দাশ, চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা উসিং হাই রবিন বাহাদুর, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ কাউছার সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জনি সুশীল প্রমুখ।
সন্ধ্যায় জেলা শহরের অরুণ সারকি টাউন হল পরবর্তীকালে সম্মেলন স্থলে কাউন্সিলরদের সন্মতিতে সভাপতি হিসাবে পুলু মার্মা ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাদ্দাম হোসেন মানিক এর নাম ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি। আগামী এক বছর উক্ত কমিটি দায়িত্ব পালন করবেন বলে উল্লেখ করা হয়।