চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নে জোরপূর্বকভাবে অসহায় এক নারীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বৃদ্ধা নারী নুর আয়েশা বেগমের জায়গাতে রোপিত নানা জাতের গাছ কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এখন স্থাপনা নির্মাণ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন দখলবাজরা। এঘটনায় বৃদ্ধা নারী চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নুর আয়েশা বেগমের লিখিত অভিযোগে জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের হাসিমমারকাটা এলাকায় খোজাখালী মৌজায় তার নামে আরএস ও বিএসমুলে মোট ৩৭ কড়া জায়গা রয়েছে। প্রায় ত্রিশ বছর পূর্বে এসব জায়গা ক্রয় করেন তিনি। সেখানে কাটা তারের ঘেরাও দিয়ে জমিতে বিভিন্ন জাতের ফলজ ও ওষুধি গাছ রোপন করে ভোগ দখলে রয়েছেন। সম্প্রতি দখলবাজ চক্রটি স্থানীয় একটি মসজিদের নাম দিয়ে বেশকিছুদিন ধরে ওই বৃদ্ধা নারীর জমি দখলের জন্য পাঁয়তারা করছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়ারকুম এলাকার বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন ও আসলাউল হকের নেতৃত্বে মসজিদের নাম দিয়ে জায়গা দখলের চেষ্ঠা চালায়। এসময় তারা জায়গাতে থাকা অর্ধশতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে সাবাড় করেছে। সেখানে থাকা কাটা তারের ঘেরা-বেড়া ভেঙ্গে তছনছ করা হয়েছে।
এছাড়াও অন্তত ৫০টি পিলার উপড়ে ফেলেছে। দূর্বৃত্তরা এসব মালামাল ও গাছ গুলো লুট করে নিয়ে যায়। এতে তার প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধিত হয়েছে। এসবের প্রতিবাদ করলে দখলবাজ চক্রটি উল্টো ওই নারী ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। এঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর নুর আয়েশা বেগম বাদী হয়ে গিয়াস উদ্দিন ও আসলাউল হকের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
নুর আয়েশা বেগম বলেন, তার ক্রয়কৃত জমি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মসজিদের নাম ব্যবহার গিয়াস উদ্দিন তার জায়গা দখল করতে গাছপালা সাবাড় করেছে। কাটা তারের ঘেরাবেড়াও নষ্ট করেছে। ইতোমধ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। এব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।