কক্সবাজারের চকরিয়ায় বানিয়ারছড়া-মগনামা সড়কের বরইতলী অংশের হারবাংয়ের ছড়াব্রিজ নামক এলাকায় সড়কের সাথে লাগোয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত বেড়িবাঁধ কেটে মাটি লুটের মহৌৎসব চলছে। বেশকিছুদিন ধরে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে সন্ধ্যা নামলেই শক্তিশালী স্ক্যাভেটর দিয়ে মাটি খননপূর্বক শতশত ডাম্পার বোঝাই করে মাটি লুট করলেও সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তারা রহস্যজনক কারণে নির্বিকার বললে চলে। ফলে প্রতিদিন রাতে বিরামহীনভাবে তারা চালিয়ে যাচ্ছে মাটি লুটের কান্ড।
স্থানীয় ইমাম শরীফের ছেলে নুরুন্নবী অভিযোগ করে বলেন- স্থানীয় যুবলীগ নেতা কামরুলের নেতৃত্বে ৫-৬ জনের একটি মাটি খেকো সিন্ডিকেট বানিয়ারছড়া-মগনামা সড়কের বরইতলী অংশের হারবাংয়ের ছড়াব্রিজের নিকটে প্রায় ২’শ মিটার পাউবোর বেড়িবাঁধ কেটে ফেলে। বেড়িবাঁধের উপর ফলিত অর্ধশত বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালাও সাবাড় করে মাটি খেকোরা।
নুরুন্নবী আরও বলেন, বেড়িবাঁধ কেটে রাস্তা করে বেশকিছুদিন ধরে সড়কের সাথে লাগোয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন জমি থেকে মাটি তুলে বিশালাকার পুকুরে পরিণত করেছে। আর লুট করা মাটি বিক্রি করা হচ্ছে মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যৎ প্রকল্পসহ বিভিন্ন এলাকায়।
রবিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, পাউবোর বেড়িবাধঁটি নির্মিত হয় বানিয়ারছড়া-মগনামা সড়কের সাথে লাগোয়া, যেটি বন্যার পানির তোড় থেকে সড়কটি রক্ষায় ভূমিকা রাখে। কিন্তু সড়ক রক্ষাকারি সেই বেড়িবাঁধে প্রায় ২’শ মিটার কেটে ফেলে মাটি খেকোরা বেড়িবাধেঁর আভ্যন্তর মাটি লুট করছে।
স্থানীয়রা জানান, বেড়িবাঁধের নিকটে মাটি কেটে বড় গর্ত করায় বেড়িবাঁধ ও সড়ক দুটিই বর্ষায় হুমকির মুখে পড়বে। একইভাবে পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হবে। পাউবো ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি সড়কেরও ক্ষতি হবে ব্যাপক।
এব্যাপারে বরইতলী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল সাংবাদিকদের বলেন, ওই জায়গা তাদের খতিয়ানি, মাটি তিনি নিচ্ছেন না, তিনি কয়েকজন লোককে ওই জায়গা থেকে মাটি নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন, বিষয়টি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ানের দৃষ্টিগোচর করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী রাশেদ সাহেবকে বলেছি, তিনি দ্রæত ব্যবস্থা নেবেন। প্রয়োজনে অভিযান পরিচালনা করবেন তিনি। ##