গুপ্তধনের আশায় তিন মাস বয়সী ভাগিনা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আনাসকে নদীতে ডুবিয়ে হত্যা করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে স্বীকার করেছেন খালা আঁখি রহমান। এরআগে বুধবার সকালে খালাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আঁখি রহমান (১৬) কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিএমর ইউনিয়নের ছৈনম্যারঘোনা এলাকার ছৈয়দ আকবরের মেয়ে।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর পিতা হোছাইন আলী বাদী হয়ে খালাকে আসামী করে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে চকরিয়া উপজেলার সুরাজুপুর-মানিকপুর মাঝেরফাঁড়ি পয়েন্টে মাতামুহুরী নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিশু আনাছকে।
থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামী আঁখি রহমান ঝাঁড় ফুকের কাজ করতো। গত ৫ নভেম্বর বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন খালা আঁখি রহমান। ৮ নভেম্বর রাতে বাড়ির একটি কক্ষের এক কোনে বসে আঁখি রহমান বৈদ্যালী কাজ করছিল। এসময় বড় বোন আনাছের মা শাকিলা বেগম ঝাড় ফু না করতে বকাঝকা করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হন আঁখি রহমান। মঙ্গলবার রাতে যথারীতি বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার ভোর ৫টার দিকে ওই শিশুর মা ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখে তার পাশে ছেলে নেই। এরপর তিনি চিৎকার করে ঘুম থেকে জেগে উঠেন। পরে ঘরের দরজা খোলা পান। এসময় আঁখি রহমানের পায়ে ও পরণের কাপড়ে কাদামাটি লেগে আছে। তাকে সন্দেহ হলে বাড়ির সবাই জিজ্ঞাসাবাদ করেন আঁখি রহমানকে। তিনি তিনমাসের শিশু ভাগিনা আনাছকে মাতামুহুরী নদীতে ফেলে দিয়ে লাশ গুমের চেষ্টা করেন বলে জানান।
পরে মাতামুহুরী নদীর সুরাজপুর পয়েন্টে ওই শিশুর মরদেহ পানিতে ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনা থানা পুলিশকে অবহিত করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
চকরিয়া থানার অফিসা ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ধৃত আসামী আঁখি রহমান বৈদ্যালীর কাজ করতো। স্বপ্নে গুপ্ত ধন পেতে হলে একটি শিশুকে নদীতে ফেলে (ডালি) দিতে হবে। তাহলে গুপ্তধন পাওয়া যাবে। এজন্য আপন ভাগিনাকে পানিতে নিক্ষেপ করে হত্যা করে খালা আঁখি রহমান।
এ ঘটনায় শিশুর পিতা হোছাইন আলী বাদী হয়ে খালাকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় খালা আখি রহমানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।