হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সেলিম হোসেনের সাথে পাঁচ মামলার আসামী বরইতলী ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি রেজাউল করিমের চা পানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাংয়ের ইনানী নামক এক হাইওয়ে রেস্টুরেন্টে একজন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে জেল ফেরত যুবদল সভাপতির ছবি শনিবার দুপুর থেকে ভাইরাল হওয়ায় জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা যায়, বরইতলী ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি বরইতলী ইউনিয়ন রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মাদক, নাশকতাসহ ৫টি মামলা রয়েছে। হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সেলিম হোসেন যোগদানের পর এলাকার কিছু দালাল সৃষ্টি করেন।
এদের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। মাদকের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মাসোহারা, বালি উত্তোলন কাজে সহযোগিতা, ফাঁড়িতে বসে সালিশ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ তাদের মাধ্যমে সম্পন্ন করেন।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক জন ভুক্তভোগি জানান, সেলিম হোসেন হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদানের পর থেকে বেপরোয়া। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে আটক বাণিজ্য, বিচার বাণিজ্য ফাঁড়িতে ক্যাশিয়ার প্রথা চালু করে মাদকের বিভিন্ন স্পট থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, থানার দালাল দাগি আসামীর সাথে গোপন বৈঠক করে সরকারী তথ্য পাচার করছে। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ একাধিক নেতা পুলিশের উধর্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেন।
এদিকে রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে একটি মাদক মামলা ৪৬/৭৭০ (১৫), মারাামারি মামলা ১৩/৩৪৬ (১৮), নাশকতা মামলা ৩৪/৭৫৮ (১৮), চাঁদাবাজি ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা মামলা ৭/২০১৬ ও ১৩৭/১৫ সহ একাধিক মামালা রয়েছে।
বরইতলী ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি রেজাউল করিমের সাথে বৈঠকের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জেল ফেরত যুবদল নেতার সাথে বৈঠক করে সরকারের গোপন তথ্য ফাঁস করছে এমন কথা আমি ও শুনেছি।
আমি আশা করব পুলিশের ভাবমুর্তি ধরে রাখতে অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের এএসপি মো. তফিকুল আলম বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাা নেয়া হবে।