জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত চকরিয়া জমজম হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে এক ভূয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির (৪০)। ওই চিকিৎসক দীর্ঘ পাঁচবছর ধরে জমজম হাসপাতালে নানা রোগের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। বুধবার ১৬ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালটিতে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও তিনমাসের জেল দেন।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজারের চকরিয়া জমজম হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ হুমায়ন কবির নামে এক ভূয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ্জ জামান নেতৃত্বে জমজম হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করেন। ম্যাজিস্ট্রেট আটককৃত ডাক্তারের বিরুদ্ধে ২০০৯ এর ৫২ ও ৫৩ ধারা অনুযায়ী একটি মামলা করেন। যার মামলা নং-৫৩/২০২২। অভিযানের সময় চিকিৎসার কোন ধরণের সনদ দেখাতে পারেনি। এমনকী মাধ্যমিক ওউচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষারও সনদ দেখাতে ব্যর্থ হন। এসময় তাকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা ও তিনমাসের জেল দেন। অনাদায়ে আরও ১৫দিনের জেল দেন ওই চিকিৎসককে। দীর্ঘ পাঁচবছর ধরে নানা রোগের চিকিৎসা দিতেন ওই চিকিৎসক। বিশেষ করে লিভার, পরিপাকতন্ত্র, ডায়াবেটিসের মতো রোগের। নিজেকে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেও দাবী করতেন তিনি। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার ইসলামপুর টরকীচর এলাকার মোহাম্মদ দিদারুল আলমের পুত্র বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, চকরিয়া উপজেলার জামায়াত-শিবিরের সাবেক নেতারা প্রতিষ্ঠা করেন জমজম হাসপাতালটি। হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সেবার নামে গলকাটা বাণিজ্য করে আসছিলো। রোগীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। এতোদিন ভূয়া চিকিৎসক দিয়ে পরিচালনা করে আসছেন জামাত-শিবির নিয়ন্ত্রিণ এ প্রতিষ্ঠানটি। শেষ পর্যন্ত গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।