হামলার শিকার তৈয়ব হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে বিএমচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পাহাড়িয়াপাড়া এলাকার গিয়াস উদ্দিন গংয়ের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক একটি ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। তাদের মামলায় আমাদের পরিবার সদস্যরা আদালত থেকে জামিন নিতে প্রস্তুতি হিসেবে গতকাল সন্ধ্যার দিকে চকরিয়া আদালত ভবনের সামনে আইনজীবির সঙ্গে দেখা করতে যাই।
আহত তৈয়ব হোসেন ও মহসিন আলী অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার সময় এলাকার দুইজন মেম্বার ঘটনাস্থল আদালত ভবনের সামনে উপস্থিত থাকলেও হামলাকারীদের কোনধরণের বাঁধা দেয়নি। উল্টো তারা এ ঘটনায় উস্কানী দিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। পরে ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের স্বজনরা সেখানে উপস্থিত হয়ে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় আমাদেরকে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে।
তৈয়ব হোসেন বলেন, আমি ওষুধ কোম্পানী ওরিয়ন ফার্মায় কর্মরত আছি। ঘটনার সময় আমার কাছে রক্ষিত কোম্পানীর নগদ ৭৫ হাজার টাকা ও আমার ২০ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল সেট লুটে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। অপর আহত মহসিন আলী বলেন, আমার কাছে ৪৭ হাজার টাকা ছিল। ঘটনার পর দেখি আমার টাকা ও মোবাইল সেট নেই। আমরা এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেব।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.আবদুল জব্বার বলেন, আদালত ভবনের সামনে প্রতিপক্ষের হামলায় বিচারপ্রার্থী আহত হয়েছেন, এইধরণের কোন অভিযোগ পাইনি। যদি পরবর্তীতে অভিযোগ দেওয়া হয়, তা তদন্তসাপেক্ষে অবশ্যই আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।