কক্সবাজার শহরের খানাকা রোড়ে অবস্থিত কক্স ন্যাশনাল হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। প্রতিদিন সকাল বেলা অনেকটা নিয়ম করে ১৫/২০ জন তাদের নিয়োজিত নারী, পুরুষ জেলা সদর হাসপাতালের ভেতরে বা অন্যান্য হাসপাতালে গিয়ে রোগি বাগিয়ে আনাই তাদের একমাত্র কাজ।
এ জন্য তাদের জন্য রয়েছে বড় অংকের কমিশন। এছাড়া রোগিদের ভুল চিকিৎসা, ভুয়া হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা, অদক্ষ নার্স, অপারেশন থিয়েটারের নাজুক অবস্থা সহ বিশাল অনিয়মের লিস্ট কক্স ন্যাশনাল হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়নের সময় যথারীতি ১০ শয্যার হাসপাতাল হিসাবে নবায়নের জন্য আবেদন করে কক্স ন্যাশনাল হাসপাতালও।
তবে সিভিল সার্জন অফিসের পরিদর্শন টিমের চরম আপত্তির মুখে সেটা থমকে দাড়ায়।
জানা গেছে, মৎস গবেষনা কেন্দ্রের সাবেক কর্মকর্তা বাহারের মাধ্যমে মোটা অংকের ঘুষ বানিজ্য করে সব কিছু ম্যানেজ করার জন্য দায়িত্ব নেয় সিভিল সার্জেন অফিসের প্রধান সহকারী রফিকুল ইসলাম ও অফিস সহকারী কাজী করিমুল্লাহ তারা মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহন করার প্রমানও রয়েছে। যার ফলশ্রূতিতে শত অনিয়মের মাঝেও লাইসেন্স নবায়ন করেছে বিতর্কিত কক্স ন্যাশনাল হাসপাতাল।
এদিকে পুরু জেলার ৮ উপজেলার হাসপাতালের লাইসেন্স প্রদানে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি করেন সিভিল সার্জন অফিসের উক্ত দুই কর্মচারী। তারা টাকার বিনিময়ে সব কিছুকে জায়েজ করেন।
এ ব্যাপারে শহরের নাম করা এক ডাক্তার বলেন, মানুষকে জিম্মি এবং প্রতারনা করে ব্যবসা করা ছাড়া কক্স ন্যাশনাল হাসপাতালের আর কোন কাজ নেই।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের সহকারী কাজী করিমুল্লাহ বলেন, কক্স ন্যাশনাল হাসপাতালকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সম্ভবত সে গুলো পূরন করায় লাইসেন্স নবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কর্মকর্তা বলেন, এটার জন্য অনেক বড় বড় ব্যক্তির তদবির আছে।
এ ব্যাপারে কক্স ন্যাশনাল হাসপাতালের ব্যবস্থাপক ডাঃ বাদশা আলমগীর বলেন, সিভিল সার্জন অফিসের বেধে দেওয়া নিয়ম কানুন মেনেই লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলী আহসান বলেন, ঐ হাসপাতালে অনেক অনিয়ম আছে এটা সত্য। আমার মতে এসব কিছুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাবুবুর রহমান বলেন, কক্স ন্যাশনাল হাসপাতালের বিষয়ে পজেটিভ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এখনো চুড়ান্ত নয়।