এবলু ধর প্রকাশ এ্যাপোলো (২৬)। সাতকানিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বণিকপাড়ার কাঞ্চন ধরের ছেলে। এবলু ধর স্বর্ণের দোকানের চাকরীর সুযোগ নিয়ে লুট করেছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের স্বর্ণ। এভাবে সে বিভিন্ন স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে পথে বসিয়েছেন। কথায় আছে চুরের দশদিন গৃহস্থের একদিন”। শেষ রক্ষা হয়নি এই এবলু ধরের। কক্সবাজারের চকরিয়ার এক স্বর্ণের দোকানদারের স্বর্ণ চুরি করে ধরা পড়েছেন পুলিশের ঝালে।
চকরিয়া থানা ও সাতকানিয়া থানা পুলিশ যৌথ ভিযান চালিয়ে রবিবার (২০ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে সাতকানিয়ার ডলুব্রীজ এলাকা থেকে এবলু ধরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এর আগেও কয়েকবার অভিযান চালিয়েছিলো পুলিশ। কিন্তু তার চাতুরতার কারণে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
চকরিয়া থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, এবলু ধর চকরিয়া পৌরশহরের স্বর্ণরাজ নামের একটি স্বর্ণের দোকানে কর্মচারী হিসেবে চাকরী নেয়। সে ওই দোকান থেকে প্রায় ২৬ ভরি স্বর্ণ চুরি করে পালিয়ে যায়। পরে স্বর্ণরাজ জুয়েলার্সের মালিক দিলীপ কান্তি দাশ বাদি হয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর এবলু ধরের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই চকরিয়া থানার এসআই মো.মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এবলু ধরকে গ্রেফতার করতে সাতকানিয়ায় অভিযানে যায়।
কিন্তু সুচতুর এবলু ধর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে ২০ নভেম্বর রবিবার রাতে চকরিয়া থানা ও সাতাকানিয়া থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এবলু ধরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
মামলার বাদি দিলীপ কান্তি দাশ বলেন, গত কয়েক মাস আগে আমি দোকানটা উদ্ধোধন করেছি। ওইসময় এবলু ধরকে দোকানের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ করি। কিন্তু মাস না যেতেই সে দোকানের প্রায় ২৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তার বিষয়ে খবর নিয়ে জেনেছি এবলু ধর একজন প্রতারক। সে এর আগে কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী সেজে প্রথমে চাকরী নেয়। এরপর সুযোগ বুঝে দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
চকরিয়া থানার এসআই মো.মজিবুর রহমান বলেন, এবলু ধরকে গ্রেফতার করেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে রিমান্ডের আবেদন হয়েছে। ওর এসব কাজের সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামী এবলু ধরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বলেছি আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করতে।