ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে এক যুবকের পরিবার থেকে নগদ ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে দুবাই নেয়ার পর প্রতারণার মাধ্যমে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া চলে এসেছে এক প্রবাসী। পরে প্রতারিত যুবকের বাবা মোবাইল ফোনে পালিয়ে আসা প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলে ছেলের আকামা ও বতাকা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দেন প্রবাসী মোহাম্মদ এহেছান। এঘটনায় প্রতারিত যুবক মোহাম্মদ তফসিরের বাবা জসিম উদ্দিন বাদি হয়ে প্রবাসী মোহাম্মদ এহেছানকে আসামী কওে বৃহস্পতিবার পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
তিনি পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পুর্ব জালিয়াকাটা গ্রামের মৃত ফরোখ আহমেদের ছেলে। বাদির এজাহারটি আমলে নিয়ে পেকুয়া থানার ওসি তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এসআই ফরিদকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বাদি পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পাহাড়িরাখালী এলাকার মৃত পেচু মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে মোহাম্মদ তফসিরকে পার্টনার হিসেবে ভিসা দিয়ে দুবাই নেয়ার কথায় বিবাদী মোহাম্মদ এহেছান ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুপুরে আমার বাড়িতে পরিবার সদস্য ও স্বজনদের উপস্থিততে আমার কাছ থেকে নগদ ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। এসময় কথা ছিল আমার ছেলেকে দুইবছরের আকামা দেবে, সেখানে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করবে। পরে টুরিস্ট ভিসায় আমার ছেলেকে দুবাই নিয়ে যান।
বাদি জসিম উদ্দিন এজাহারে বলেন, আমার ছেলেকে দুবাই নিয়ে যাওয়ার পর শঠামির আশ্রয় নিয়ে প্রবাসী এহেছান ইতোমধ্যে গোপনে বাংলাদেশে অর্থ্যাৎ তার গ্রামের বাড়ি পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নে চলে আসে। এই অবস্থায় আমার ছেলে মোহাম্মদ তফসির দুবাইয়ে বিভিন্ন পরিচিত জনের আশ্রয়ে আত্মগোপনে থেকে মানবেতার দিন কাটাচ্ছেন।
পরে খবর পেয়ে আমি অভিযুক্ত প্রবাসী মোহাম্মদ এহেছানকে গত ১৫ জানুয়ারি রাতে ফোন করি। তাকে অনুরোধ করি, কথামতো দুবাই আমার ছেলেকে ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে আকামা ও বতাকা দেওয়ার জন্য। তাতে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন অভিযুক্ত প্রবাসী এহেছান। একপর্যায়ে মোবাইল ফোনে প্রবাসী এহেছান ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে। সেসময় আমি প্রতিবাদ করলে তিনি ফোনে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দেন। মুলত তিনি আমার কাছ থেকে নগদ নেওয়া ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাত করার জন্য প্রতারণার কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। এই অবস্থায় আমি প্রতারক প্রবাসী এহেছানের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে আমার দেওয়া নগদ ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা ফেরত পেতে পেকুয়া থানার ওসি মহোদয়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।