কোরআন হচ্ছে মানব জীবন পরিচালনার গাইড লাইন। মানব জীবনে অর্থ বা অন্য কোনো কারণে জাগতিক তৃপ্তি আসলেও প্রকৃত তৃপ্তি এবং শান্তি কোরআন শিক্ষার মাধ্যমেই সম্ভব। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যারা ঈমান আনে, বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে। জেনে রাখো, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়। কোরআন তেলাওয়াতে ইমান বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে মানসিকভাবেও প্রশান্তি লাভ করা সম্ভব হয়। বক্তারা বলেন, কেরাত সম্মেলন যুব সমাজের অন্তরকে ইমানের দ্বীপ্ত শিখায় উদ্ধীপ্ত করে তুলতে সাহায্য করবে।
২১ জানুয়ারি বলিরহাট হাজী নূর বেগম ফার্নিচার মাঠে দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলন ও প্রতিয়োগিতার অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলন সংস্থার সহযোগিতায় বাকলিয়া বলিরহাট হাজী হামিদুল্লাহ জামে মসজিদ কমিটির উদ্যোগে হাজী নুরুল আবছার বাহাদুর মুন্সির সভাপতিত্বে ও খতিব আল্লামা নোমান সালেহ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ইন্টেরিয়র ডেকোর পরিচালক আলহাজ্ব আবদুর রহীম, সেকান্দর হোসাইন, এডভোকেট শফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, আইডিয়াল গার্লস মাদরাসার অধ্যক্ষ মীর মোহাম্মদ ছানুবী, মুহাম্মদ ইমরান, হাজী মো: সোলায়মান, এডভোকেট জানে আলম,মুহাম্মদ আসলাম, মাওলানা আবদুর রহীম, মুহাম্মদ জাবেদ হোসাইন, মুজিবুর রহমান, জিয়াউল হক জিয়া, হাজি হামিদুল্লাহ জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মুন্সি মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান প্রমুখ।
আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলনে বিদেশী ক্বারীদের মধ্যে উপস্থিত থেকে তেলাওয়াত করেন মিশরের বিখ্যাত ক্বারী শাইখ সালাহ মুহাম্মদ সোলাইমান, তানজানিয়া শাইখ ঈদী সাবান, মিশরের শাইখ আবদুর রহমান খাওলি এছাড়াও দেশীর বহু ক্বারীগণ কেরাত পরিবেশন করেন।
সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন মারদাসার ক্বারীদের অংশ গ্রহণে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে তাদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা নোমান সালেহ। তাবারুক বিতরণের মাধ্যমে মাহফিলের কার্যক্রম শেষ হয়।