লামার পার্শ্ববর্তী চকরিয়ার বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ইউনিয়ন পরিষদের হল রুম থেকে ২৭ টি পুরাতন চেয়ার চুরির ঘটনায় সন্দেহ ভাজন হিসেবে ৪ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়। এই মামলায় চেয়ার চোর চক্রের মূল হোতা ধরা চোয়ার বাহিরে থেকে গেলে ও অন্যদের আসামী করে হয়রানী মূলক মামলাটি করেছে বলছেন অভিযুক্তের স্বজনরা, আরো কয়েকজনকে এই চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত করা হলে ও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মূল হোতা এই মামলা থেকে বাদ দিয়ে অন্যদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, এই চুরির ঘটনাকে পুঁজি করে বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আব্দুল মান্নান চোর চক্রের মূল হোতার সাথে যোগসাজসে মোটা অংকের অর্থের বিনিয়মে এই ঘটনাকে অন্য দিকে মোড় দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন জনকে এই চুরির মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিকে আসছেন।
সূত্রে জানা যায়, চুরির ঘটনার সময় ঐ ইউনিয়নের দফাদার আব্দুল মান্নান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। তার উপস্থিতিতে কিভাবে এই ঘটনা ঘটে জনমনে প্রশ্ন এ ছাড়া চুরির মালামাল হাতেনাতে পাওয়া ব্যক্তিদের আইনের আওতায় না এনে তাদের স্বীকারোক্তি মতে জনৈক আব্দুল হামিদকে গ্রেফতারের ঘটনা রহস্যজনক। তাছাড়া ও ইতিপূর্বে উক্ত দফাদার আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ রয়েছে বলে বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাক্তিরা বলেন।
এই ঘটনার প্রত্যেক্ষদর্শী পুরাতন মালামাল ব্যবসায়ী আবদুর রহিম জানান, চুরির মালামাল গুলো কয়েকজন ছেলে মিলে ঐ দিন রাতে আমার নিকট বিক্রি করতে এসেছিল, মালামাল গুলো সন্দেহ জনক মনে হলে। এগুলো আমি কিনতে অস্বীকৃতি জানালে তারা মালামাল গুলো নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। পরদিন বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন দফাদার এই বিষয়ে জানতে আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসা করে।
বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার মো. আব্দুল মান্নান সাথে অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুটো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, এ বিষয়ে আবগত আছি অন্যান্য আসামীরা গ্রেফতার এর প্রক্রিয়া চলছে। তবে নিরাপরাধ কাউকে মামলায় না জড়ানোর কথা জানান।