কক্সবাজার শহরের প্রাণ প্রবাহ হিসেবে পরিচিত ঐতিহ্যবাহী বাঁকখালী নদী দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে নদীর কস্তুরাঘাট থেকে এ অভিযান শুরু হয়। প্রথমদিন দেড় শতাধিক স্থাপনা গুড়িয়ে দেয় প্রশাসন। যা চলবে আগামী কয়েকদিন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে কক্সবাজার পৌরসভা, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগ, পিডিবি, ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক এবং উচ্ছেদকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে শীর্ষ দখলদার হিসেবে স্বীকৃত আবদুল খালেক চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় তিনজন সংবাদকর্মী আহত হয়।
অন্যদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং সরকারিকাজে বাধা দেয়ার অপরাধে খালেক চেয়ারম্যানসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কিছু অবৈধ দখলদার বাকঁখালী নদী দখল করে বিশাল আকারের স্থাপনা করে আসছে।
পরে তারা নানানভাবে কিছু মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কাগজপত্রও তৈরি করেছে। সর্বশেষ মহামান্য হাইকোর্টের নিদের্শে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আমরা প্রাথমিক ভাবে এখানে ৩০০ টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করেছি তার গুড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। এখানে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মোট কথা আর ছাড়া বিএস মুলে তারা এখানে অবৈধ দখলে আছে তাদের সব ধরনের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
এর আগে থেকে বাঁকখালী নদী দখলের মহোৎসব চলে আসছে প্রায় ৬ বছর ধরে। নদী তীরের ৬শ হেক্টর প্যারাবন নিধন করে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী চক্র একে একে গড়ে তুলে শত শত অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থাপনার বেশিরভাগ প্রথমদিন ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়।