চকরিয়া পৌরশহরের বিভিন্ন ঔষধ ফার্মেসীতে প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন দপ্তরের নেতৃত্বে ভেজাল বিরোধী যৌথ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের সময় ৫টি ফার্মেসী থেকে নিবন্ধনবিহীন, আমদানি নিষিদ্ধ ও ভেজাল ঔষধ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেপি দেওয়ান এ অভিযান পরিচালনা করেন।
বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে চকরিয়া সরকারি হাসপাতাল সড়কের পাশ্ববর্তী মেডিকেল সেন্টারের নিচে ঔষধের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা যায়, চকরিয়া সরকারি হাসপাতাল সড়কের পাশ্ববর্তী মেডিকেল সেন্টারের নিচে বিভিন্ন ঔষধ ফার্মেসীতে দীর্ঘদিন ধরে বেশকিছু অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ী নিবন্ধনবিহীন, আমদানি নিষিদ্ধ ও ভেজাল ঔষধ বিক্রি করে আসছিল। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে ১ মার্চ বুধবার দুপুরের দিকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে ৫টি ফার্মেসীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় অভিযানে প্রায় ১লক্ষ টাকার মতো বিক্রয় নিষিদ্ধ বিভিন্ন অবৈধ ঔষধ জব্দ করা হয়। এছাড়াও নিবন্ধনবিহীন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ, আমদানি নিষিদ্ধ ও ভেজালসহ ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ও ফুড সাপ্লিমেন্ট ঔষধ উদ্ধার করে জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওইসব ঔষধের ফার্মেসীকে ড্রাগ এ্যাক্ট ১৯৪০ এর ১৮ ধারা লঙ্গন করার অপরাধের দায়ে ৫টি ফার্মেসীকে সংশ্লিষ্ট আইনে ১লক্ষ ৯০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।
এসময় কক্সবাজার ড্রাগ প্রশাসন অধিদপ্তরের তত্বাবধায়ক কাজী মোহাম্মদ ফরহাদ, চকরিয়া থানা পুলিশ, ভ্রাম্যমাণ আদালতের পেশকার ও ঔষধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে নেতৃত্বে দেয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেপি দেওয়ান বলেন, পৌরশহরের চিরিঙ্গায় ৫টি ফার্মেসীতে অভিযান পরিচালনা করে নিবন্ধনবিহীন, আমদানি নিষিদ্ধ ও ভেজাল ঔষধ জব্দ করা হয়েছে। ফার্মেসী থেকে উদ্ধারকৃত এসব ঔষধ রাখা ও বিক্রির দায়ে ড্রাগ এ্যাক্ট আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় এসব ফার্মেসীকে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযান পরিচালনার সময় যে সমস্ত ফার্মেসী থেকে নিবন্ধনবিহীন, আমদানি নিষিদ্ধ ও ভেজাল ঔষধ জব্দ করা হয়েছিল তা জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। প্রশাসনের এ ধরণের অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।