কক্সবাজারের পেকুয়ায় গৃহবধুকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বামী ও ভাসুর। রবিবার (৫ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের পেকুয়ারচর নতুন ঘোণা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও স্বজনদের সহযোগিতায় তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আহত গৃহবধু মমতাজ বেগম ওই এলাকার রাশেদুল ইসলামে স্ত্রী।
আহতের বড় ভাই ছরওয়ার বলেন, প্রায় ১২বছর আগে মমতাজ বেগমের সাথে রাশেদুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দশ ও আট বছর বয়সের দু’টি সন্তান রয়েছে। প্রায় চার বছর সুখের সংসার ছিল তাদের। রাশেদ ৮বছর আগে পরকীয়া জড়িয়ে আরেকজনের বউকে বিয়ে করে নিরুদ্দেশ হয়। আর কোন ধরনের খোঁজখবর রাখেনি। কয়েকদিন আগে রাশেদ বাড়িতে আসে। সকালে রাশেদ ও তার বড় ভাই বেলাল উদ্দিন মমতাজকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
স্থানীয়দের মাধ্যমে মারধরের খবর পেয়ে বড় বোন ও ছেলেকে সেখানে পাঠায়। ভাসুর বেলাল তাদেরকে আক্রমনের চেষ্টা করে। আমার বোনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনতে দেয়নি। প্রায় ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
মমতাজ বেগমের ছেলে মো.রাজু ও মেয়ে নাঈমা বলেন, সকালে বাবার সাথে মায়ের কথাকাটাকাটি হয়। এসময় আমার পিতা ও বড় আব্বু বেলাল মিলে মাকে নিষ্টুরভাবে মারধর করে। চুলের মুঠি ধরে ঘর থেকে বের করে উঠানে ফেলে দেয়। গলাটিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করে।
জসিম উদ্দিন, রফিকা বেগমসহ আরো কয়েকজন স্থানীয় লোকজন বলেন, রাশেদ দ্বিতীয় বিয়ে করে উখিয়ায় চলে যায়। ১ম স্ত্রী মমতাজ ছোট দুই বাচ্চাকে নিয়ে কষ্ট করে স্বামীর ভিটায় থাকে। ভাসুর বেলালের কু-দৃষ্টি পড়ে ওই ভিটার প্রতি। অনেক আগে থেকে মমতাজকে তাড়ানোর চেষ্টা করছে। সকালে দুই ভাই মিলে মমতাজকে নির্দয়ভাবে মারধর করে।
উজানটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম জানান, মারধরের খবর শুনেছি। গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছি।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার জানায়, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।