শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলায় উন্নীত হলো কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা। আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় সারাদেশে চতুর্থ ধাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে দলিল, খতিয়ানসহ ঘর হস্তান্তর করেন।
২২ মার্চ ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে র্ভ্যাচুয়ালী যুক্ত হয়ে দলিল, খতিয়ানসহ ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হলো চকরিয়া উপজেলা।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ মিলানয়তনে উক্ত প্রকল্প থেকে চতুর্থ ধাপে ১৯২ টি ঘর হস্তান্তরর করা হয়েছে।
দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের নিকট ২শতক জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চকরিয়া উপজেলায় সর্বমোট ৮০০টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদানের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়। ইতোমধ্যে অধিকাংশ পরিবারের নিকট জমিসহ গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। ২২ মার্চ বুধবার সকাল ৯টায় অবশিষ্ট ১৯২ জনকে জমি ও দলিল হস্তান্তরের মধ্যদিয়ে চকরিয়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে দলিল ও চাবি তুলে দেন কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ জাফর আলম এমপি, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ইমরান শাহীন, উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী ও পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী। গণভবন প্রান্ত হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি সরাসরি সংযুক্ত হয়ে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারদের মাঝে জমি ও দলিল হস্তান্তর যুক্ত হন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ জাফর আলম এমপি, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, কক্সবাজার অতিরিক্ত সহকারি পুলিশ সুপার (চকরিয়ার সদর সার্কেল) মো. তফিকুল আলম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক চুট্টো, নারী ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন কুমার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক ১৮ ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।