কক্সবাজারের চকরিয়ায় গরু চোর চক্রের গুলিতে মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৮) নামের যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত-রাত ২টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের (৭নং ওয়ার্ড) মগছড়াজুম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ জাহাঙ্গীর আলম উল্লেখিত এলাকার মৃত আবুল কাছিমের ছেলে। পেশায় সে একজন রেললাইন প্রকল্পের শ্রমিক।
প্রত্যক্ষদর্শী মগছড়াজুম এলাকার গৃহকর্ত্রী রেজিয়া বেগম জানান, মধ্যরাতে একদল সশস্ত্র চোর চক্র তাদের বাড়িতে একটি ষাঁড় চুরি করতে আসে। গোয়াল ঘরে গরুর নড়াচড়া বুঝতে পেরে তার স্বামী ইসলাম আহমদ মুঠোফোনে প্রতিবেশীদের অবগত করেন। এ খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ির যুবক জাহাঙ্গীর আলম লোহার রড় নিয়ে চোর ধরতে চলাচল সড়কের কিনারায় নিরাপদ স্থানে অবস্থান করে।
অপরদিকে লোকজনের সমাগম বুঝতে পেরে চোর চক্র পালিয়ে যাওয়ার সময় সামনে পড়ে জাহাঙ্গীর। তাৎক্ষণিক তার দিকে ছড়াগুলি বর্ষণ করে পালিয়ে যায় দলবদ্ধ চক্রটি। প্রতিবেশী লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আহতের অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে
যাওয়ার নির্দেশ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহতের জেঠাতো ভাই আবু বক্কর জানান, জাহাঙ্গীরের ডান হাতের বাহু ও চোখে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এবিষয়ে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর জানান, জরুরী কাজে তিনি ঢাকা গেছেন। রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে চকরিয়া থানা পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইউনিয়নে গরু চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা দিনদিন বাড়ছে। জড়িত রয়েছে এখানকার সংঘবদ্ধ একাধিক চক্র। এসব বিষয়ে আইনি সহযোগিতা চেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে। অপ্রতিরোধ্য চুরি ছিনতাই কর্মকান্ডে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে এখানকার সাধারণ জনগণ।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, এরকম কোন ঘটনা সম্পর্কে তিনি জানেন না। খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান তিনি।