টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মহিলা মেম্বার ও তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক
মহেশখালীকে দরিদ্রদের জন্য সরকারের ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কাগজে কলমে কাজ শুরু হলেও বাস্তবে তার দেখা নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজ না করে টাকা হরিলুট করছে প্রভাবশালী মহিলা মেম্বার ও তারস্বামী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে এসব বিষয়ে জানেন না বলে জানিয়েছেন কুতুবজোম ইউপি চেয়ারম্যান শেখ কামাল। তিনি জেনে পরে জানাবে বলে জানান।
জানা গেছে, উপজেলার কুতুবজোমে কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা মারধর করে কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মহিলা মেম্বারের স্বামীর বিরুদ্ধে।
এদিকে ২৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে এনিয়ে ভুক্তভোগী কয়েকজন শ্রমিক ও মহিলা শ্রমিকের স্বামী মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ নিয়ে গেলে তা খতিয়ে দেখেন পিআইও অফিস। পরে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য লাল জর বেগম ও তার স্বামী সোলাইমানকে এনে জিজ্ঞেসাবাদ চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার লাল জর বেগমের স্বামী মো. সোলাইমান প্রতিবারে কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা আসলে বাড়ি এসে গালিগালাজ করে ৮ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা নিয়ে যায় এ পর্যন্ত ১৪ হাজার টাকা নিয়ে যায় রাজিয়া বেগম থেকে।এছাড়াও একই কায়দায় সুফিয়া, মছুদা, মোহছেনা, জহুরা বেগমসহ আরও কয়েকজন থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা কেডে নিয়ে যায়।
এনিয়ে শুক্কুর, মছুদা নোনাজ সহ কয়েকজনের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
এবিষয়ে জানতে ভুক্তভোগী রাজিয়া ও তার স্বামী জানান আমরা গরীব মানুষ, আমাদের টাকা থেকে অর্ধেকে মহিলা মেম্বারের স্বামী সোলাইমান কেড়ে নিয়েছে। আমরা লিখিত অভিযোগ নিয়ে ইউএনও বরাবর এসেছি। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এবিষয়ে মহেশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাউসার আহমেদ জানান- প্রাথমকিভাবে কর্মসৃজন প্রকল্পের কয়েকজন শ্রমিকের টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত মহিলা ইউপি সদস্য ও তার স্বামীকে ডেকে আনা হয়েছে এবং উক্ত বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অফিসে রাখা হয়েছে। বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।