চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ইদ্রিস আহমদ ইয়াবাসহ রংপুরে গ্রেফতার হয়েছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় গোয়েন্দা বিভাগ মেম্বার ইদ্রিসসহ চারজনকে ৩০ মার্চ সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার ফতেপুর ভুরাঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় একটি ট্রাক গাড়ি ও ১২ হাজার পিস ইয়াবা, নগদ ৪২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
রংপুর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, একটি সূত্র জানায় যে ফতেপুর ভুরাঘাট এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন মাদক কারবারী কক্সবাজার থেকে আসা ইয়াবা লেনদেনের জন্য একত্রিত হয়েছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালান।
এসময় ভুরাঘাট এলাকায় আমিনুলের বাড়ির সামনের পশ্চিমের পাকা রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রাকে আটক করা হয়। এসময় ফতেপুর ভুরাঘাট এলাকার বাসিন্দা আকবর আলীর ছেলে আমিনুল ইসলামের (৩০) কাছে থেকে দুই হাজার পিস নীল ও কমলা রঙের ইয়াবা ও নগদ ৪২ হাজার টাকা, কক্সবাজারের চকরিয়ার ছৈয়ান্মার ঘোনা এলাকার হাকিম আলীর ছেলে ইদ্রিস আহমদ (৩৫) চার হাজার পিস ও ট্রাকের পেছনের ডালার চটের বস্তার ভেতরে সিনথেটিক ব্যাগে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ছয় হাজার পিস ইয়াবাসহ মোট ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এসময় চকরিয়া বিএম চরের আব্দুল কাদেরের ছেলে মামুন মিয়া (২০) ও রংপুর নগরীর তাজহাট থানার মডার্ণ মোড় মসজিদপাড়া এলাকার মহাব্বেল মিয়ার ছেলে সৈকত মিয়াকে (২৪) আটক করা হয়। আটক মাদককারবারীদের রংপুর সদর কোতোয়ালী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক দিলারা রহমান বলেন, আমিনুল ইসলাম আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী। তাকে দীর্ঘদিন ধরে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। অভিযান চালিয়ে আমিনুলসহ ৪জনকে আটক করে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
এসময় একটি ট্রাকও জব্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট মাদক আইনে মামলা দিয়ে এদিন বিকালে কোতোয়ালী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।