একই রকম কাপড়ের দাম একেক দোকানে একেক রকম। দোকানদারের ইচ্ছামত কাপড়ের গায়ে দাম লিখে বিক্রি করা হচ্ছে কারো কিছু করারও নেই বলারও নেই। আর একটু প্রচার পাওয়া দোকানেও তো কথাই নেই আসল দামের চেয়ে ৪/৫ গুণ বেশি দামে বিক্রি করছে ব্যবসায়িরা এমনটাই দেখ গেছে বিভিন্ন দোকানে ঘিরে।
কক্সবাজারে অনেকটা আগেই জমে উঠেছে এবারের ঈদ বাজার। শহরের সালাম মার্কেট, বাটা রোড, ফিরোজা মার্কেট, ফজল মার্কেট, সুপার মার্কেট, এদিকে নিউ মার্কেট, বড় বাজার রোড় সহ বিভিন্ন মার্কেটে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। প্রায় দোকানে দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া ভীড়। বিশেষ করে শিশুদের কাপড় এবং মহিলাদের শাড়ী থ্রিপিস সহ বিক্রি বেড়েছে সব পণ্যে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শহরের টেকপাড়ার গৃহীনি জিগারুন্নেছা বলেন, ছেলেমেয়েদের জন্য কাপড় কিনতেই এবারের ঈদ বাজারের সব টাকা চলে গেছে, কারণ একটি মেয়ের থ্রিপিস মেঘামাটে দেখেছি ৫ হাজার ৬০০ টাকা মুল্য চাইছে অথচ একই কাপড় সালাম মার্কেটের স্টাল প্লাস দোকানে ৩২০০ টাকা। আবার ছানা সহ অন্যান্য দোকানে ৩৫০০ টাকা। ছোটা ছেলেদের একটি সার্ট বা গেঞ্জী কিনতে গেলে আগে ৫০০/৬০০ টাকা দিলে হতো এখন ১৭০০ থেকে ২০০০ টাকা চাইছে। মোট কথা ভদ্র ভেসে ডাকাতি করছে দোকান গুলো।
শহরের পেশকারপাড়ার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি আবদুস সালাম বলেন, পরিবারের আমি ছাড়া ৫ জন সদস্য, সবাই জন্য ঈদে কিছুনা কি কিছু কিনতে হবে সে জন্য যা বাজেট করেছিলাম সব টাকা ইতিমধ্যে চলে গেছে কারণ বাজারে ছোট ছেলেমেয়ের কাপড়ের অস্বাভাবিক দাম। একটি ছোট বাচ্চার কাপড় কিভাবে ৩ হাজার টাকা হয় আমার বুঝে আসেনা। মূলত ব্যবসায়িরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অনেকটা ব্যবসা করছে। যার প্রমাণ হচ্ছে আমি নিজে মেঘামাট নামক দোকান এবং বাটা মার্কেটের সামনের দোকানের একটি মার্কেটে ১৩ রমজানের দিন কাপড় দেখে এসেছি তখন ৩ টি কাপড় ৬ হাজার টাকা দিয়ে দামদর করেছিলাম।
কিন্তু টাকা না থাকার কারনে কিনতে পারিনি। পরে ১৫ রমজানের সময় গিয়ে সেই কাপড় কিনতে গিয়ে দেখেছি ৮ হাজার টাকাও দিচ্ছে না। ২ দিনের মধ্যে তারা কাপড়ের গায়ে দাম বাড়িয়ে লিখে রেখেছে। অর্থাৎ ইচ্ছামত কাপড়ের গায়ে দাম লিখে তারা।
বেশ কযেকজন ব্যবসায়ির সাথে কথা বলে জানা গেছে সবচেয়ে বেশি গলাকাটা বানিজ্য করছে রাজস্থান নামের পাঞ্জাবীর দোকানে। এখানে প্রতিটি পাজ্ঞাবী ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে যা বর্তমান বাজারে অনেক বেশি। আর কাপড়ের মানও অতবেশি ভাল না। এগুলো সব প্রতারণা করছে সাধারণ ক্রেতাদের সাথে।
এ ব্যাপারে এ সালাল মার্কেটের ব্যবসায়ি আবদুল গফুর বলেন, আমাদের দোকানে অল্প লাভে ব্যবসা করি তবে অনেক দোকানদার আছে যারা কাপড় থেকে আসল দাম খুলে রেখে তারা নিজস্ব ভাবে তৈরি দাম লিখে ফলে এতে সাধারণ মানুষ আসলেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
তিনি বলেন, এখানে ব্যবসায়িদের মধ্যে একটি সিন্ডিকেট আছে বিশেষ করে সাতকানিয়া লোহাগাড়ার ব্যবসায়িরা। সব কিছু অনেকটা তাদের নিয়ন্ত্রনে ফলে এখানে সাধারণ ব্যবসায়িরা অসহায়।
এদিকে রাজস্থান এবং আম্মাজান, আব্বাজান নামের কিছু পাঞ্জাবির দোকানে গিয়ে দেখা গেছে আসল দামের চেয়ে কয়েকগুন বেশি দামের বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি পাঞ্জাবি। ফলে এখানে একদাম বলে গ্রাহকদের ঠকানো হচ্ছে বলে জানান সাধারণ ক্রেতারা। এ সব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ভোক্তা অধিকার সহ জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাধারণ মানুষ।