ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে ঘুমন্ত সাত বছরের শিশু ওসমা মণির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ২১ মে শনিবার রাত ১টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের হালকাকারা মৌলভীরচরে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওসমা ওই এলাকার বাসিন্দা সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী মোহাম্মদ ওসমানের মেয়ে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়, পৌরসভার মৌলভীরচর গ্রামের একটি বাড়িতে তিন ভাই মোহাম্মদ বাহাদুর মিস্ত্রি, মোহাম্মদ ওসমান ও মোহাম্মদ মিজানের পরিবার আলাদা কক্ষে থাকত। শনিবার রাত ১টার দিকে বাহাদুর মিস্ত্রির বাড়ির চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহুর্তের মধ্যে আগুন বাড়ির চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বাড়ি থেকে সবাই বের হয়ে যায়। ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে তাহসিন তারান্নুম ওসমার মৃত্যু হয়।
শিশুটির মা শাহিনা আক্তার বলেন, ঘরে আগুন লাগার পর তাঁর ১০ আর ২ বছরের দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি ঘরের বাহিরে চলে আসেন। তাঁর একমাত্র মেয়ে চাচির সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল। কিন্তু সবাই দ্রæত বেরিয়ে এলেও তাঁর ঘুমন্ত মেয়ে ঘরে রয়ে গিয়েছিল। যখন বিষয়টি জানাজানি হলে ততক্ষণে তাকে আর বের করা সম্ভম হয়নি। পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায় ওই শিশুটি।
পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, খরব পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘরে বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া হওয়ায় আগুন দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে। দুঃখজনকভাবে শিশুটিও পুড়ে মারা যায়।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়িটিতে তিন সহোদর থাকতেন। তাঁদের বসতঘর ও একটি শিশু পুড়ে মারা গেছে। শিশুটিকে আরেকটি শয়নকক্ষে পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত করতে শিশুর লাশ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’ ##
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ জাফর আলম এমপি, চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. তফিকুল আলম ও চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী।
তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সাংসদ জাফর আলম নগদ অর্থ ও কাপড় বিতরণ করেন। একই সময়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী নগদ অর্থ দেন। দ্রুত সময়ে বাড়ি তৈরী করার আশ্বাস দেন।