উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদীর জমিতে গাড়ি রাখার গেরেজ নির্মাণকালে হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী জাফর কোম্পানীর নেতৃত্বে চাঁদা দাবী করে প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় জমি দেখবালের দায়িত্বে থাকা কেয়ারটেকার, রাজমেস্ত্রী ও সহকারিসহ ৫ জন আহত হয়েছে। ২ জুন’ জুমার নামাজের পর দুপুর ২টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের হালকাকারা জনতা মার্কেট রোড সংলগ্ন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে হামলার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান বাড়িতে ছিলেন না।
এঘটনায় চকরিয়া পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের হালকাকারা এলাকার মৃত আমির হামজার পুত্র ও চেয়ারম্যানের কেয়ারটেকার ওলা মিয়া (৪০) বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে; একই এলাকার মৃত মোজাহের আহমদ কোম্পানীর পুত্র যথাক্রমে খোরশেদ আলম (২৫), জাফর আলম (৫৫), শাহ আলম (৫০), সামশুল আলম (৪৫), মনসুর আলম (৪২) সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জনকে।
চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী জানান, তার বসতভিটার শত বছরের পুকুরটি ভরাট করে পাকা বাউন্ডারী দেওয়াল দেওয়া হয়। গাড়ির গ্যারেজ নির্মাণের কাজ পরিচালনা করছিলেন কেয়ারটেকার ওলা মিয়া ও রাজমেস্ত্রী এবং শ্রমিকরা। জুমার নামাজের পর হঠাৎ করে অভিযুক্তরা জবর দখল করতে লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠি নিয়ে কেয়ারটেকারের কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। একপর্যায়ে কেয়ারটেকার ওলামিয়া ও রাজমেস্ত্রীকে চারদিকে আক্রমণ করে রাখে। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ওলা মিয়া (৪০), দেলোয়ার হোসেন (৪০), তৌহিদুল ইসলাম (২৮), হেলাল উদ্দিন (২৬)।
তিনি আরও বলেন, এসময় চিৎকার শুনে বাড়ির দারোয়ান জয়নাল উদ্দিন এগিয়ে গেলে তাকেও সর্বশরীরে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ইউনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার জখমের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
ঘটনার পর অভিযুক্ত জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেন। অভিযুক্ত জাফর আলম কোম্পানীর বিরুদ্ধে বরইতলীতে মোর্শেদ আলম হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন, হামলা, জবর দখলসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। তিনি পিবিআই পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে একাধিক গ্রেফতারসহ জেল খেটেছেন বলে অভিযোগ করেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, হালকাকারা জনতা মার্কেট রোড সংলগ্ন উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদীর পৈত্রিক পুকুরের ভরাট জমিতে গেরেজ নির্মাণকালে হামলার ঘটনায় একটি এজাহার পেয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।