কক্সবাজারের চকরিয়ার বানিয়ারছড়া-মগনামা সড়কে পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে মো.সাজিদুল হাসান মুন্না (৩০) নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পুলিশের ৫ সদস্য। আহতরা চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ভোর রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ওই সড়কের বরইতলী ইউনিয়নের হারবাংছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেশে তৈরী একটি একনলা বন্দুক, দুই রাইন্ড তাজা কার্তুজ, একটি মোটরসাইকেল ও মুখোশ উদ্ধার করেছে।
নিহত সাজিদুল হাসান মুন্না উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের কেরাবানীয়া ঘোনার মো. মইনুদ্দিনের ছেলে। আহতরা পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই রাজিব কুমার, এএসআই মহসিন চৌধুরী, কনস্টেবল তরিকুল ইসলাম, সুজন মিয়া ও মহসিন মিয়া।
বৃহস্পতিবার বিকালে ৪টার দিকে চকরিয়া থানার সম্মেলন কক্ষে প্রেস বিফ্রিংয়ে ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য দেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো.শাকিল আহমেদ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.শাকিল আহমদ বলেন, চকরিয়া উপজেলার বানিয়ারছড়া-মগনামা সড়কের বরইতলী ইউনিয়নের হারবাং ছড়া ব্রিজ এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোর রাতে দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে ৬-৭ জনের ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় সিএনজি অটোরিকশা যোগে সড়কে টহলরত হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পয়ে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। একপর্যায়ে ডাকাতরা পিছু হটে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মুন্না নামের এক ডাকাতের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে ডাকাতদল ১০-১২ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে তা প্রতিহত করতে পুলিশও পাল্টা ৪ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। নিহত মুন্না আন্ত: ডাকাত দলের সদস্য। সে কক্সবাজারে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে চট্টগ্রাম শহরে পালিয়ে যেত। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতিসসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত করতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে।