কক্সবাজারের চকরিয়ায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বদি আলম নামে এক কৃষককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তাকে একেরপর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। এব্যাপারে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কাকারা এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের পুত্র কৃষক বদি আলম। পেশায় একজন কৃষক। কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। বদি আলম আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ায় মাঝে মধ্যে এলাকাবাসী ও আত্মীয়স্বজনকে আর্থিক সহযোগিতাও করেন। কিন্তু এবার বদি আলম আর্থিক সহযোগিতা করতে গিয়ে এক আত্মীয়ের রোষনলের শিকার হয়েছেন।
বদি আলমের নিকট আত্মীয় সাহারবিল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুল আজিজ বিদেশ যাওয়ার কথা বলে তার স্ত্রী রেখা আক্তার ৫০ হাজার টাকা হাওলাত নেন। এরপর আজিজ বিদেশে চলে যায়। কিন্তু বিদেশ যাওয়ার পর পরিবারে সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তার সংসার চালানোর জন্য কোন টাকাও পাঠাচ্ছে না। আর্থিকভাবে সংকটে পড়ে আবদুল আজিজের পরিবার। প্রবাস যাওয়ার পর থেকে কোন টাকা পাঠায়নি তার পরিবারের কাছে। আয়-রোজগার না থাকায় বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে পারছে না। এ অবস্থায় আজিজের স্ত্রী রেখা আক্তার বদি আলমের কাছ থেকে পূনরায় টাকা ধার চাইতে যায়। বদিউল আলম তার নিকটতম আত্মীয় হওয়ায় রেখা আক্তারকে আরও এক লাখ টাকা হাওলাত দেন। পরবর্তী সময়ে রেখা আক্তারের বিকাশ নাম্বারে দপে দপে আরও দুই লাখ হাওলাত নিয়েছেন তার কাছ থেকে। এভাবে রেখা আক্তার টাকা নিলেও সময় পার হলেও পরিশোধের ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নেই তার।
এদিকে কৃষক বদি আলম মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কী কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা হলো তাও জানে না। বর্তমানে চরম আর্থিকভাবে সংকটে পড়েন বদি আলম। রেখা আক্তারের কাছে হাওলাত নেওয়া টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন বদি আলম। সম্প্রতি সাহারবিল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আবদুল জব্বার সিকদারপাড়া প্রবাসী আবদুল আজিজের বাড়িতে যান তিনি। সেখানে আজিজের স্ত্রী থেকে হাওলাত নেওয়া টাকা পরিশোধ করতে বলার পর ক্ষেপে যান রেখা আক্তার। উল্টো কিসের টাকা জিজ্ঞাসা করে? কিন্তু রেখা আক্তার নানা অজুহাত দেখিয়ে হাওলাতের টাকা পরিশোধ করছে না। বেশ কয়েকবার টাকা পরিশোধ করতে বলায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে বলে হুমকি দেন বদি আলমকে।
বদি আলম বলেন, তার নিকটতম আত্মীয় হওয়ায় আবদুল আজিজের স্ত্রী রেখা আক্তারকে দপে দপে প্রায় চার লাখ টাকা হাওলাত দিয়েছি। তার টাকা দিয়ে রেখা আক্তারের স্বামী বিদেশ গিয়েছে। কিন্তু দুই-তিনবছর অতিবাহিত হলেও পাওনা টাকা পরিশোধ করছে না। হাওলাতের টাকা চাওতে তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করেছে রেখা আক্তার।
তিনি আরও বলেন, টাকা চাইতে গিয়ে এখন আমি বিপাকে পড়েছি। রেখা আক্তার আমাকে স্বামী দাবী করে ভূয়া রোটারি করেছে। আমার ছবি এবং স্বাক্ষর জাল করে তাকে বিয়ে করেছে অপপ্রচার করছে। মূলত টাকা না দেওয়ার জন্য একেরপরএক ষড়যন্ত্র করছেন। আমি তার বিরুদ্ধে চকরিয়া উপজেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সাধারণ ডায়েরি করেছি। রেখা আক্তার ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি। এসব ধামাচাপা দিতে রেখা আক্তার আমার বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছেন। আমি এব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।