নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দশায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে পথেপথে দিন কাটাচ্ছে হতদরিদ্র আবুল কাশেম। রাস্তাঘাটে বোতল কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করলেও নেই কোন মাথা গোঁজার ঠিকানা।
এরমাঝে তার শরীরে বেঁধেছে নানান রোগের বাসা। এই অবস্থায় টিকে থাকা বড়ই দুষ্কর হয়ে পড়েছে আবুল কাশেমের।
এক সময় বাড়িঘর থাকলেও এখন তার কিছুই নেই, স্ত্রী সন্তান নিয়ে করছেন মানবেতর জীবন-যাপন।
জাতীয় পরিচয়পত্র সূত্রে আবুল কাশেম (৫০) চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ডুমখালী গ্রামের বাসিন্দা।
আবুল কাশেম জানান, একসময় ডুমখালী গ্রামে তাদের ভিটা-বাড়ি সবেই ছিল, কিন্তু তার মায়ের মৃত্যুর পর স্থানীয় একটি চক্র তাদের ভিটা-বাড়ি কেড়ে নিয়েছে। এরপর থেকে আজ ১৬ বছর যাবৎ বিভিন্ন মানুষের কাছে আশ্রয় নিয়ে ও রাস্তাঘাটে বোতল কুড়িয়ে তা বিক্রি করে কোনরকমে অনেক কষ্টে জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছেন। তার কোন জায়গা জমি নেই।
আবুল কাশেম অভিযোগ করে জানান, মালুমঘাট বাজারের পেছনে অনেকেই বনবিভাগের জায়গা দখলে নিয়ে দালানকোঠা বসতি স্থাপন করেছে, সম্প্রতি আমিও ওই সরকারি জায়গায় ছোট্ট একটি বাসা স্থাপনা করেছিলাম। কিন্তু বনবিভাগের লোকজন অন্য দখলদারদের উচ্ছেদ না করলেও শুধুমাত্র আমার বাসাটি ভেঙ্গে দিয়ে আমাকে উচ্ছেদ করে দেন। এখন আমার থাকার কোন স্থান নেই। তার দাবী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীনদের ঘর দিচ্ছেন, তাই আমিও একটি ঘরের জন্য ডুলাহাজারার চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদরের কাছে আবেদন করেছিলাম, কিন্তু এখন পর্যন্ত ঘর পায়নি। যদি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি ঘর পেতাম স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে সুন্দর ভাবে থাকতে পারতাম।
ডুলাহাজারা ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী বলেন, আবুল কাশেমকে আমি চিনি, সে আসলেই একজন দরিদ্র ও অসহায় মানুষ। তার পরিবারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া একটি ঘর খুবই প্রয়োজন। চকরিয়া
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান বলেন, লিখিত দরখাস্ত পেলে যাচাই বাছাই করে যদি সে ভূমিহীন বা হতদরিদ্র হয় অবশ্যই তাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি ঘর দেওয়া হবে।