দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবী করে না পেয়ে ভবন নির্মাণ ও ঢালাই কাজে বাধা দিয়েছে ৩০-৪০ জনের একদল সন্ত্রাসী। তারা শুধু বাধা দিয়ে ক্ষান্ত হয় নাই। লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালিয়ে আহত করেছে বাড়ির মালিকের ২ মেয়ে ২ ছেলেকে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের হালকাকারা সওদাগর পাড়া গ্রামে।
বাড়ির মালিক এবিএম সাকের জানান, তার লক্ষ্যারচর মৌজার হালকাকারা সওদাগর পাড়ায় ক্রয়কৃত ২৭ শতক জমিতে চকরিয়া পৌরসভার অনুমোদন নিয়ে গত জানুয়ারি মাসে ভবন নির্মাণ শুরু করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাস স্টেশন এলাকার ওসমান গনি নামক একব্যক্তি এলাকার জনপ্রতিনিধিদের উস্কানিতে নির্মাণ স্থানে তার জায়গা রয়েছে এ অজুহাতে এবং মোটা অংকের চাঁদা দাবী কিছু সন্ত্রাসী নিয়ে বেশ কয়েক দফা হামলা চালায়। তাদের হামলা ও প্রতিনিয়ত হুমকিতে নির্মাণ কাজ প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকায় মালিকের লোহার রড, সিমেন্ট, সেন্টারিং সহ নির্মাণ সামগ্রীর প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। এতে মালিক কোন উপায় না দেখে চকরিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে অপর মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে নির্মাণ কাজে বাধা না দিতে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।
অপরদিকে কক্সবাজার এডিএম কোর্টে ওছমান গনির দায়ের করা অপর একটি এম আর মামলাও গত ৪ সেপ্টেম্বর আদালত খারিজ করে দেন। এদিকে বাড়ির মালিক সাকের ম্যানেজার গত ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে নির্মাণ শ্রমিক দিয়ে পূনরায় কাজ শুরু করলে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ চক্র জড়ো হয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবারও হামলা চালিয়ে নির্মান কাজে বাধা দেয়। এসময় তাদের বাধা দিতে গিয়ে মালিকের দুই মেয়ে শাহীন, নাজনীন, ছেলে আহাদ আহত হয়েছে। সন্ত্রাসীরা এ সময় মালিকের দুই মেয়েকে লাঞ্চিত করেন। খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের এসআই কামরুল ইসলাম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং মালিকের কাগজপত্র ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা দেখে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে বলেন। চকরিয়া থানার এস আই কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।