সাবেক সেনাসদস্য মহসিন ভুট্টোর হত্যাকান্ডের এখনো কোন ধরণের রহস্য উদগাটন করতে পারেনি পুলিশ। হত্যার পাঁচদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পুলিশ বলছে, তদন্ত উদগাটনে নানামুখী তৎপরতা চলছে। আসল তথ্য বের হতে একটু সময়ের ব্যাপার তাই ধীর গতিতে এগুতে হচ্ছে। এ হত্যাকান্ডের তদন্তে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে কাজ করছেন বলে জানান চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদ।
তিনি আরও বলেন, সাবেক সেনাসদস্য মহসিন ভুট্টো হত্যাকান্ডে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে মামলা নেওয়া হয়েছে। মহসিনের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়ের পরপরই পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন। পুলিশ মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। তদন্ত উৎঘাটনে একাধিক গোয়েন্দো সংস্থা গুলো মাঠে কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
হত্যার ধরণ দেখে মনে হয়েছে, এটি পূর্ব পরিকল্পিত। আর হত্যায় একাধিক লোক অংশগ্রহণ করেছে। মহসিন ভুট্টোর শাররীক গঠন খুবই ভালো। বাম হাতের বাহু ভেঙ্গে গেছে। তাকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিঠিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে এমন ধারণা গোয়েন্দা সংস্থাদের।
এদিকে মামলার বাদি সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাতে অজ্ঞাতনামা আসামি করে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মুলত তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মাতামুহুরী ব্রিজের পাশে পারিবারিক কিছু জমি রয়েছে। ওই জমি দখল নিতে মুলত তার ভাই মনসিন ভুট্টোকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত বুধবার ৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয় লোকজন মাতামুহুরী ব্রিজের নিচে পানিতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মহসিন ভুট্টোর লাশ উদ্ধার করে। মহসিন ভুট্টো কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের হালকাকারা সওদাগর পাড়ার মৃত খলিলুর রহমানের পুত্র।